শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে গণতান্ত্রিক অর্জন বিনষ্ট হয়েছে

৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে গণতান্ত্রিক অর্জন বিনষ্ট হয়েছে

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি নিজের জন্য নতুন সময়ের সূচনা করতে চলেছেন? ১৯৯৬-এর ঘটনাপ্রবাহ বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য অপেক্ষাকৃত নতুন ছিল। এক দশক সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে তখন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল গণতন্ত্র। সে সময় শীর্ষ দুই নেত্রী পরিপক্বতার অভাবে নানা ভুলভ্রান্তির মধ্য দিয়ে দেশকে নিয়ে গিয়েছিলেন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ের সেই সব ভুলভ্রান্তি হয়তো বাংলাদেশের মানুষ ক্ষমা করে দিয়েছে। কিন্তু ১৯৯৬ থেকে ২০১৪’র দূরত্ব অনেক। নতুন প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্রে ভুলভ্রান্তি পরিণত গণতন্ত্রে পুনরাবৃত্তি হওয়া উচিত নয়।

আওয়ামী লীগ ভুল করেছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচন অনুষ্ঠান করে। আর বিএনপি ভুল করেছে নির্বাচন বর্জন করে- অথচ তাদের জয়ী হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা ছিল। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আরও জানায়, প্রতিহিংসার ধ্বংসাত্মক রাজনীতির বিষে এক দশকের ইতিবাচক অর্জন পুরোপুরি বিনষ্ট হয়েছে।

সহিংসতায় ঘেরা, ভোটারদের নগণ্য উপস্থিতির একতরফা নির্বাচন বাংলাদেশের রাজনীতিকে নতুন করে পেছনের দিকে ঠেলে দিয়েছে আর গণতন্ত্রকে করেছে দোদুল্যমান। সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অর্থহীন এক নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করছে যা কিনা ওই ১৯৯৬ সালের পুনরাবৃত্তি। পার্থক্য শুধু এটুকু, তখন জুতা ছিল আরেকজনের পায়ে। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে কমসংখ্যক ভোটার উপস্থিতি নীরব প্রতিবাদ হিসেবে প্রতিভাত হচ্ছে। বিএনপির সর্বাত্মক অংশগ্রহণে একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা আবশ্যক। স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে নিয়ে আসার এটাই একমাত্র উপায়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচনে বোঝা সম্ভব নয় বেশির ভাগ বাংলাদেশী প্রকৃতপক্ষে কি চান- তারা কি সরকারের পরিবর্তন নাকি ক্ষমতাসীন সরকারকে আবার দেখতে চান। পরিশেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বর্তায় বাংলাদেশের মানুষের ওপর। আর বাংলাদেশী জনগণ যেন তাদের পছন্দমতো শাসক নির্বাচন করতে পারে ভারতের উচিত সেটা নিশ্চিত করা।সূত্র-বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম