স্টাফ রিপোর্টার ॥ সংবিধান অনুযায়ী মহাজোট সরকার একতরফা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিরোধী আরেকটি রাজনৈতিক জোট আসন্ন একতরফা নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষনা দিয়েছে। যার ফলে সংবিধান রক্ষার নির্বাচনে সংঘাত সৃষ্টি হলে দেশ অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থা বেঙ্গে পড়বে। নির্বাচনে সাধারনত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভোট কেন্দ্র করা হয়। সম্প্রতি সরকার বিরোধী আন্দোলনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী অনুমেয় সংবিধান রক্ষার একতরফা নির্বাচনে সংঘাতময় অবস্থার সৃষ্টি হলে দেশের অন্তত ৩৫টি জেলায় ৫শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকা রয়েছে।
সর্বাধিক ঝুকিপূর্ণ জেলার মধ্যে রয়েছে চাদঁপুর, কুমিল্লা, বি-বাড়ীয়া, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলুভীবাজার, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, জামালপুর, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর, রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, চাপাইনবাবগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পিরোজপুর, ভোলা উল্লেখযোগ্য।
রাজধানীর উত্তরাস্থ আল-আমিন মডেল স্কুলের অধ্যক্ষ মোঃ শহিদুল্লাহ জানান, শিক্ষার্থীদের জন্য ডিসেম্বর ও জানুয়ারী মাস হচ্ছে টার্নিং পয়েন্টের মাস। ডিসেম্বর ও জানুয়ারী মাসে দেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে। ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল জানান, একদলীয় নির্বাচন প্রতিহত করতে রাজধানীতে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-১৮ আসনে অন্তত ২০টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। গার্মেন্টস শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ মোস্তফা সরকার জানান, বহুদলীয় গনতন্ত্র রক্ষা করতে দেশের ৪০লাখ গার্মেন্টস শ্রমিকদের সহযোগীতায় দূর্বার আন্দোলন করে এদেশে কোন পাতানো নির্বাচন করতে দেয়া হবে না।