শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > ৮১ উপজেলায় কাল ভোট

৮১ উপজেলায় কাল ভোট

শেয়ার করুন

বাংলাভূম২৪ ডেস্ক ॥ সহিংসতা আর সংঘাতের আশঙ্কা নিয়ে চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৩য় ধাপের ভোট কাল। এ দফার নির্বাচনকে ঘিরে উত্তাপ উত্তেজনা থাকায় আগের চেয়ে বেশি মাত্রায় সহিংসতার আশঙ্কা করছেন ভোটার ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে শেষ মুহূর্তে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কয়েকটি উপজেলায় প্রিজাইডিং কর্মকর্তা পরিবর্তন করেছে নির্বাচন কমিশন। এর আগের দু’ধাপের উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই, জাল ভোটের বিভিন্ন সহিংসতা ঘটলেও কয়েকটি ভোট কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া ছাড়া আর কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি কমিশনকে। তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের আগে নির্বাচনী এলাকায় সংঘাত ও সহিংসতা হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা কাজ করছে। এমন অবস্থায় আগামী ১৫ই মার্চ হতে যাচ্ছে ৮১ উপজেলার নির্বাচন। এবার সহিংসতা ঠেকাতে তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়নি ইসি। বরং উপজেলা নির্বাচনে এধরনের সহিংসতা হওয়াটার বিষয়ে সাফাই গেয়েছে নির্বাচন কমিশন। গত বুধবার নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ বলেন- স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সহিংসতা হওয়াটাই স্বাভাবিক। না হওয়াটাই অস্বাভাবিক। আমরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছি বলে সঠিকভাবে নির্বাচন হচ্ছে। এদিকে বৃহস্পতিবার টাঙ্গাঈল-৮ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক বলেন- ১ম ও ২য় ধাপের নির্বাচনের চেয়ে ৩য় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে আমরা আশা করছি। ভোটারেরা যাতে নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে সে বিষয়ে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। ৩য় দফা নির্বাচনে মোবাইল কোর্টের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট ব্যবহার করা হবে। নির্বাচনে সরকারি কর্মকর্তাদের পক্ষপাতিত্বের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিইসি বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা কোন পক্ষপাতিত্ব প্রদর্শন করলে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হবে। আগের নির্বাচনগুলো সরকারি কর্মকর্তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে মোবারক বলেন, এখানে কিছু আইনি বিষয় আছে। তবে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ৮১ উপজেলায় মোট ১ হাজার ১১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪১৯, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪২৩ এবং সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৭৭ জন। মোট ভোটার ১ কোটি ৩১ লাখ ৮৫ হাজার ১৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩২ জন, মহিলা ভোটার ৬৬ লাখ ১৭ হাজার ১৮১ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৪৫৬টি, ভোটকক্ষ ৩৮ হাজার ১৮৯টি। প্রিজাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকেন্দ্রে একজন করে ৫৪৫৬ জন। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকক্ষের জন্য একজন করে মোট ৩৮ হাজার ১৮৯ জন। এবং পোলিং অফিসার সংখ্যা ৭৬ হাজার ৩৭৮ জন দায়িত্ব পালন করবেন। গত ৬ই ফেব্রুয়ারি ৮৩ উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। সহিংসতা ও সংঘর্ষের কারণে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা এবং আদালতের নির্দেশে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের নির্বাচনটি বন্ধ রয়েছে। ৮১ উপজেলায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে টহল শুরু করেছে সেনাবাহিনী। নির্বাচনের আগে ও পরে মিলিয়ে মোট পাঁচদিন তারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে। প্রতি উপজেলায় ১ প্লাটুন করে সেনাবাহিনীর সদস্য টহল দিচ্ছে। বড় উপজেলায় এ সংখ্যা বেশি হতে পারে। পাশাপাশি প্রতি উপজেলায় সেনাবাহিনীর দুই থেকে তিনটি গাড়ি টহলে রয়েছে। সঙ্গে সেনাবাহিনীর কমান্ডিং অফিসার ও একজন করে ম্যাজিস্ট্রেটও রয়েছে। এছাড়া, মোবাইল ফোর্স হিসেবে পর্যাপ্ত পরিমাণ র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকছে। এছাড়া, প্রতি কেন্দ্রে একজন পুলিশ (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার একজন (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার ১০ জন (মহিলা-৪, পুরুষ-৬ জন) এবং আনসার একজন (লাঠিসহ) ও গ্রামপুলিশ একজন করে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ, পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল ও হাওর এলাকায় এ সংখ্যা শুধুমাত্র পুলিশের ক্ষেত্রে দু’জন হবে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ৩২৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৮১ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। মানবজমিন