বৃহস্পতিবার , ২৮শে মার্চ, ২০২৪ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৭ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > ৯০০ পোশাক কারখানা শ্রম আইন ভঙ্গ করছে

৯০০ পোশাক কারখানা শ্রম আইন ভঙ্গ করছে

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থগিত করা জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে সরকার সোমবার বহুল আলোচিত ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল ২০১৩’ জাতীয় সংসদে পাস করেছে। কিন্তু পোশাক কারখানাগুলোর কর্ম পরিবেশের  কি আদৌ কোনো পরিবর্তন হয়েছে? পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সম্প্রতি সরকারের কল কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর পোশাক কারখানা পরিদর্শনে দেখেছে, অনেক কারখানাই শ্রম আইন ভঙ্গ করছে। এগুলোতে শ্রমিকের জন্য যেসব সুবিধা এবং ভবনের যে ধরনের নিরাপত্তা থাকার শর্ত রয়েছে, তা পালিত হচ্ছে না।

কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর সূত্র জানায়, অধিদপ্তর সম্প্রতি  দুই হাজার ৩৮১টি কারখানা পরিদর্শন করেছে। এর মধ্যে প্রায় ৯০০ কারখানায় শ্রম আইন, কারখানা আইন ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ভঙ্গের চিত্র দেখা গেছে। এর প্রায় ৩০০ কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে। কারখানাগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা বা জরুরি নির্গমন পথ নেই, দুটি সিঁড়ির স্থলে আছে একটি। ভবনের ছাদের ২৫ শতাংশের বেশি এলাকায় টিনের ঘর রয়েছে বা ভবনের জন্য যথাযথ অনুমোদন নেই।

অন্যদিকে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের একটি দল ১০২টি তৈরি পোশাক কারখানা ভবন পরিদর্শন করে ৯৪টিতে বিভিন্ন রকম ত্রুটি পেয়েছে বুয়েটের । এর মধ্যে দুটি ভবনকে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ও চারটিকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা  হয়েছে। এছাড়া ৪০টি ভবনে ইমারত নির্মাণ বিধিমালার বেশ কিছু শর্ত পালন ও নকশা অনুসরণ করা হয়নি এবং ৪৮টি ভবনে নির্মাণগত সামান্য ত্রুটি রয়েছেছে। বাকি আটটি ভবনে কোনো ত্রুটি পাওয়া যায়নি।  পোশাক কারখানা পরিদর্শন শেষে বুয়েট এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন শ্রম মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে।

এদিকে গত ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর ৩০০ কারখানা কর্তৃপ তাদের কারখানা পরিদর্শনের জন্য বুয়েটে আবেদন করে। এরপর ১৮ জনের একটি দল দুই মাস ধরে ১৫২টি কারখানা পরিদর্শন করে। এর মধ্যে ১০২টির প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করেছে দলটি। বাকি ৫০টি ভবন পরিদর্শনসংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে।

তবে শুরুতে আগ্রহ দেখিয়ে আবেদন করলেও ১৪৮টি কারখানা কর্তৃপ ভবন পরিদর্শনে সহযোগিতা করেনি বলে সূত্র জানিয়েছে।

সোমবার আইন পাশ করার সময় মন্ত্রী বলেছেন, এই আইন পাস হলে শ্রমিকদের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হবে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থগিত করা জিএসপি ফিরে পাওয়া সম্ভব হবে।কিন্তু পোশাক কারখানার কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত না করে শুধু আইন কি জিএসপি সুবিধা ফেরত আনতে পারবে? এই প্রশ্নটি থেকেই যাচ্ছে।