শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > ২০২১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা হবে ১৭ কোটি ১৬ লাখ

২০২১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা হবে ১৭ কোটি ১৬ লাখ

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
বর্তমান হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকলে ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশের জনসংখ্যা হবে ১৭ কোটি ১৬ লাখ ৬৪ হাজার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক জরিপ মতে বাংলাদেশে জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৭ ভাগ।

গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ সব তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সাংসদ আবদুল মতিনের অপর প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ঔষধ আমদানীকারক দেশের পরিবর্তে রফতানিকারক দেশ হিসেবে গৌরব অর্জন করেছে। দেশের চাহিদার শতকরা প্রায় ৯৮ ভাগেরও বেশী ঔষধ বর্তমানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। বর্তমানে দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকার ঔষধ ও ঔষধের কাঁচামাল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ১২৫টি দেশে রফতানি হয়ে আসছে।

দেশে বর্তমানে ৪ হাজার ১৪৩ জন এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী। এরমধ্যে এ পর্যন্ত ৬৫৮ জন মারা গেছে বলে জানান মন্ত্রী।

সাংসদ ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সরকারি হিসেবে বর্তমানে দেশে চিকিৎসা সেবা ও এইচআইভি সনাক্তকরণ কার্যক্রম সরকারি ১২টি হাসপাতালের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, যার মধ্যে ৪টি সরকারি হাসপাতাল হতে এইডস আক্রান্ত রোগীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ঔষধ সরবরাহ করা হচ্ছে।

নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জিএমপি (গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাকটিস) গাইডলাইন যথাযথভাবে পালন না করায় এবং নিম্নমানের ঔষধ উৎপাদনের দায়ে গত পাঁচ বছরে ৩৪টি এ্যালোপ্যাথিক ঔষধ উৎপাদনকারী কারখানার লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু ঔষধ প্রস্তুতকারী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি ঔষধ প্রস্তুতকারী কারখানার লাইসেন্স বাতিলসহ ২০টি প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার ঔষধ উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। ১৪টি প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার এন্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে।

তিনি জানান, চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে আগস্ট এই ৮ মাসে মান-বাহির্ভূত ঔষধ উৎপাদনের কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট ৪৪টি পদের রেজিষ্ট্রেশন বাতিল এবং ২৬ পদের রেজিষ্ট্রেশন সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে কোন প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বা পদ বাতিল বা সাময়িক বাতিল করা হলে তা জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ঔষধ প্রস্তুতকারী কারখানার সংখ্যা ৮৫৩টি। এর মধ্যে এ্যালোপ্যাথিক কারখানা ২৬৬, ইউনানী ২৬৭, হোমিওপ্যাথিক ৭৯ এবং হার্বাল ৩২টি রয়েছে।