সোমবার , ২৭শে মে, ২০২৪ , ১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ , ১৮ই জিলকদ, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > ঈদের পর সরকারের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ

ঈদের পর সরকারের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ ঈদের পর অন্যায়, অত্যাচার ও জালিম সরকারের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল পূর্বানীতে জাগপা চেয়ারম্যান শফিউল আলম প্রধানের আয়োজনে এক ইফতার পার্টিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।

দেশের রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে ইফতার পার্টির আয়োজন করেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) চেয়ারম্যান শফিউল আলম প্রধান।

সরকার সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে কালো কানন করতে যাচ্ছে অভিযোগ তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, এ সরকারে আমলে দেশে অনেক সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। আমারদেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান জেলে রয়েছেন। সরকারের দাগি গুণ্ডারা জেল থেকে ছাড়া ফেলেও মাহমুদুর রহমানকে জেলে রেখেছে সরকার।

খালদা জিয়া বলেন, জালিম অনির্বাচিত সরকারের অধীনে মানুষ নিরাপদ নয়। হেফাজত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখল, রামু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। কোনো ধর্মের লোকই এ সরকারের কবল থেকে রেহাই পায়নি। তাদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে জনগণের সহযোগিতা চান।

তিনি বলেন, দেশে আজ কোনো নির্বাচিত সরকার নেই। তারা অন্যায় ভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছে। এই সরকার জুলুমবাজ জোর করে ক্ষমতায় আছে। তাদের এ অন্যায় ভাবে ক্ষমতায় থাকায় দেশের যুবকরা চাকরি পচ্ছে না। তাদের দলের গুণ্ডারা সব জায়গায় আক্রমণ চালিয়ে তাদের মনের মতো লোকজনকে চাকরি দিচ্ছেন। দ্রব্যমূল ঊর্ধ্বগতি। দিন দিন ভেড়ে চলছে জিনিসপত্রের দাম।

রাজধানীসহ দেশের সব রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাস্তাঘাটের করুণ অবস্থা থাকায় আজ মানুষ ভালোভাবে চলাফেলা করতে পারছে না। এছাড়াও খুন, ঘুমের কারণে দেশের মানুষের মাঝে রয়েছে চরম আতঙ্ক। মানুষ ভয়ে স্বাধীণভাবে চলাফেরা করতে পারছে না। সরকার তাদের গুণ্ডা বাহিনী ও ৠাব দিয়ে একের পর এক খুন, গুম ও নানা ধরণের হত্যকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

খালেদা জিয়া বলেন, এদেশের মানুষ চায় শান্তি। আর তারা একের পর এক খুন, গুমসহ নানা হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আজ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো ভালো মানুষের ঠাই নেই। এতে রয়েছে আওয়ামী লীগের গুণ্ডা বাহিনী।

তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই জোর করে সরকার প্রধানরা ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছেন কিন্তু কেউই পারেননি। তারাও থাকতে পারবে না। খালেদা জিয়া বলেন, আপনাদের বড় বড় কথা বন্ধ করুন। এদেশের মানুষ ভোট দিতে চায়। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন।

নারায়ণগঞ্জের সেভের মার্ডারের বিষয়ে খালেদা জিয়া বলেন, এ ঘটনার মূল ক্রিমিনালদের ধরা হয়নি। তাদের ধরা হলে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে। আর যাদের ধরা হয়েছে তাদেরকে রাখা হয়েছে জামাই আদরে। তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এ ঘটনার আসল ক্রিমিনালদের ধরুন তাহলে তথ্য বেরিয়ে আসবে।

ইফতার পার্টিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, নজরুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, হান্নান শাহ, এম কে আনোয়ার, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এজেএম জাহিদ হোসেন, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামান হায়দার, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিসের আমির অধ্যাপক মওলানা মো. ইসহাক, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. ইব্রাহিম বীর প্রতীক, কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান, এনপিপির চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, মহাসচিব ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, এনডিপির চেয়ারম্যান, খন্দকার গোলাম মোর্তজা, মহাসচিব আলমগীর মজুমদার, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মবিন, পিপলস লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট গরীবে নেওয়াজ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. পিয়াস করিম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি আবদাল আহমেদ ছাড়া ও দেশের রাজনীতিবিদসহ বিশিষ্ট নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।