রবিবার , ২৬শে মে, ২০২৪ , ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ , ১৭ই জিলকদ, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এরশাদ সরকারের প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ কায়সারের বিরুদ্ধে ১৬টি অভিযোগ এনে চার্জ গঠন করা হয়েছে। এতে প্রসিকিশনের আনা ১৮টি অভিযোগের মধ্যে তিনটিকে একসঙ্গে রাখা হয়েছে।

আগামী ৪ মার্চ প্রসিকিউশনের সূচনা বব্ক্তব্য ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করা হয়েছে।

এর আগে ট্রাইব্যানাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান কায়সারে বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পড়ে শোনান। অভিযোগ পড়া শেষে কায়সারকে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি দাঁড়িয়ে হাতজোড় করে ট্রাইব্যুনালকে বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ নির্দোশ। আমার বিরেুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’

এর আগে কয়েক দফা অভিযোগ গঠনের তারিখ পেছানো হয়।

গত ১১ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৮টি অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউশন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর সৈয়দ কায়সারের বিরুদ্ধে ১৬ টি অভিযোগ চুড়ান্ত করে প্রসিকিউশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত সংস্থা। পরে প্রসিকিউশন যাচাই বাছাই করে আরো দুটি অভিযোগ বৃদ্ধি করে তার বিরুদ্ধে ১৮টি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে।

গত ১০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কাছে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুমের নেতৃত্বে প্রসিকিউশন টিম কায়সারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন।

প্রসিকিউশনের প্রতিবেদনে সৈয়দ মো. কায়সারের পরিচয়ে বলা হয়েছে, ‘তার পিতা সৈয়দ সঈদউদ্দিন ১৯৬২ সালে সিলেট-৭ আসন থেকে কনভেনশন মুসলিম লীগের এমএনএ নির্বাচিত হন। সৈয়দ কায়সার ১৯৭১ সালে দখলদার পাকিস্তান আর্মির দোসর হিসেবে তাদের পক্ষে অবস্থান নেন। স্বাধীনতার ঊষালগ্নে তিনি আত্মগোপন করেন।’

উল্লেখ্য, সৈয়দ কায়সার জিয়াউর রহমানের সময়ে বিএনপিতে যাগ দেন এবং হবিগঞ্জ বিএনপির সভাপতি হন। এরশাদের শাসনামলে তিনি যোগ দেন জাতীয় পার্টিতে। ১৯৮৮ সালে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হন। এরশাদ সরকারের সময়ে তিনি কৃষি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।