সোমবার , ২০শে মে, ২০২৪ , ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ , ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করলে ফৌজধারী অপরাধে মামলা হবে : গাজীপুরের জেলা প্রশাসক

নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করলে ফৌজধারী অপরাধে মামলা হবে : গাজীপুরের জেলা প্রশাসক

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে কোন শংকা নেই। আমরা গত সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হিসাবে করতে পেরেছি। আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে কেউ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ফৌজধারী অপরাধে মামলা দায়ের করা হবে। যারা নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন এমন লোকদের তালিকাও আমরা করেছি। তাদেরকে সতর্কও করা হয়েছে। তাদের উপর আইনশৃংখলা বাহিনী নজর রাখছে। ভোটাররা নির্বিগ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।
রোববার দুপুরে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নিজ কার্যায়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংএ এসব কথা বলেন।
এ সময় গাজীপুর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মামুনুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রেফিং এ গাজীপুরের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ৬/৭ জন আইনশৃংখা বাহিনীর সদস্য, আনসার মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, প্রতিটি উপজেলায় দুটি প্লাটুন করে বিজিবি মোতায়েন করা হবে। এছাড় র‌্যাব, পুলিশের টহল টিম, মোবাইল টিম ও মোটরসাইকেল টিম নিয়োজিত থাকবে। গরমের মধ্যে ভোটাররা যেন নির্বিগ্নে দ্রুত ভোট দিতে পারেন, সে জন্য প্রয়োজনে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে অস্থায়ী বুধ স্থাপন করা হবে।

জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা একটি মেসেজ সকল ভোটার এবং প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে দিতে চাই, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশমতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে প্রশাসনের অথবা কোন নির্বাচনী কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে নির্বাচন আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, কোন প্রার্থী আচরণ বিধি লংঘন করলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনে তার প্রার্থিতা বাতিল করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে। ভোটারদের আশ্বস্ত করতে চাই, গাজীপুর জেলা ও পুলিশ প্রশাসন যে কোনো মূল্যে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। ভোটারগণ নির্ভয়ে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।

জেলা প্রশাসক আশা প্রকাশ করে বলেন, সংসদ সদস্যগণ এবং মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও আবাদ করতে সহায়তা করবেন।

এসময় জেলা প্রশাসক, নির্বাচনের যেকোনো অনিয়ম সংক্রান্ত তথ্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রিটার্ণিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচনী সংশ্লিষ্ট যে কোনো বিষয়ে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানান। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ রিটার্নিং কর্মকর্তাগণ এবং জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নেতৃত্বাধীন আইনশৃঙ্খলা কোর কমিটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোঃ সফিকুল আলম বলেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে। আমরা উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য করতে বদ্ধপরিকর। গ্রহণ যোগ্য নির্বাচন করতে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সকল ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছ। নির্বাচনে কোন ধরণের অনিয়ম সহ্য করা হবে না। কেউ বিশৃঙ্খলা করতে চাইলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, আইনের চোখে সকলেই সমান। আইনের যা বলা আছে, আমরা বাস্তবেও তারই প্রয়োগ করব। এখানে পরিচয় বিবেচনায় নিয়ে কারো প্রতি কোন আচরণ করা হবে না। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে সকল কর্মকর্তা অবাধ ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবেন। সকল প্রার্থীদের প্রতিও সমান আচরণ করা হবে।