রবিবার , ২৬শে মে, ২০২৪ , ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ , ১৭ই জিলকদ, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা সরকার স্বাভাবিক পথে নেই

৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা সরকার স্বাভাবিক পথে নেই

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ ভারত ও আঞ্চলিক শান্তির স্বার্থের ওপর আঘাত। যখন ভারত, চীন ও রাশিয়া নির্বাচনকে সমর্থন জানাতে হাতে হাত মিলিয়েছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র স্মরণ করিয়ে দিতে চায়, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা সরকার স্বাভাবিক পথে নেই। সোমবার দ্য ইকোনোমিক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

সাংবাদিক সুবির ভৌমিকের লেখা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কয়েকবার সাক্ষাৎ করেছেন এবং গণমাধ্যমকে বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের গণতন্ত্র সন্ধানের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে। এই প্রতিবেদনে লেখক ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সব দলের অংশগ্রহণে কীভাবে একটি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা যায়, সে বিষয়ে অচিরেই সংলাপে বসার ওপর জোর দিয়েছেন ড্যান মজিনা। এদিকে হাসিনার পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী নতুন করে সংসদ নির্বাচন আয়োজনে মজিনার আহক্ষানকে দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তোলার আহক্ষান হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, জিএসপি ফিরে পেতে শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে যেসব পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন, পুরোপুরি সে ধরনের পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। এতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়, গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে নোবেলজয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে সরানোর বিষয়টি মার্কিন সিনেটের শুনানিতে তুলে আনা হয়। এক সিনেট সদস্য সরকারের এ পদক্ষেপকে ‘স্থূল পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তার মতে, যে ব্যাংকের ওপর লাখ লাখ দরিদ্র মানুষ নির্ভর করে, সেই ব্যাংকের শীর্ষ ব্যক্তিকে পদচ্যুত করাও দুঃখজনক। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া অঞ্চলে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল ইউনূসকে তার পদ থেকে অপসারণের সরকারি পদক্ষেপকে ‘ভীষণ লজ্জা’র বলে মন্তব্য করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এসময় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইআরআই বাংলাদেশে একটি জনমত জরিপ প্রকাশ করেছে। সর্বশেষ এই জরিপে ৫৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন, বাংলাদেশ ভুল পথে এগোচ্ছে। মাত্র ৩৫ শতাংশ মনে করেন, ঠিক পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ। প্রতিবেদন জানায়, এই জরিপের অর্থ যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছে বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ভারত যখন পার্লামেন্ট নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত, ঠিক তখন বাংলাদেশে এসব ঘটনা ঘটছে। যদি এর অবসান হয় একটি ভঙ্গুর ম্যান্ডেটের মাধ্যমে এবং দিল্লিতে একটি দুর্বল সরকার আসে, তাহলে প্রতিবেশী দেশে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ মোকাবিলা করার ব্যাপারে ভারত অনিশ্চয়তায় থাকবে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈরিতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।