স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সাফ ফুটবলের আগে থাইল্যান্ড সফরে জয়-পরাজয় মুখ্য নয়- যাওয়ার আগে জানিয়ে গিয়েছিলেন জাতীয় দলের হেড কোচ লোডউইক ডি ক্রুইফ। তার ওপর প্রথম ম্যাচে কঠিন প্রতিপরে সামনে পড়েছিল বাংলাদেশ। প্রিমিয়ার লীগে পাঁচ নম্বরে থাকলেও ওসোতস্পা সারাবুরি এফসিতে ছিলেন পাঁচজন থাইল্যান্ড জাতীয় দলের ফুটবলার, সঙ্গে ছয় বিদেশী নিয়ে গড়া দলটির কাছে ২-১ গোলে হেরে সাফ প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। হারলেও ম্যাচটিতে শিষ্যদের ভালই পরোখ করেছেন ক্রুইফ। ইনজুরি আক্রান্ত অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম, জাহিদ হোসেন ও জার্মান প্রবাসী রিয়াসাতকে ছাড়া ১৮ ফুটবলারকে খেলিয়েছেন এ ডাচ কোচ। শুধু সুযোগ মেলেনি গোলরক বিপ্লব ভট্টাচার্য, ডিফেন্ডার রায়হান হাসান ও ইয়ামিন মুন্নার। তাই তো ম্যাচ শেষে ক্রুইফের কণ্ঠে নেই কোন হতাশা। ‘এই ম্যাচে বেশ কিছু দুর্বলতা আমার চোখে পড়েছে। সামনে এগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে আমাকে,’ বলেন ক্রুইফ।
গতকাল কাবটির নিজস্ব মাঠ সারাবুরি সেন্ট্র্রাল স্টেডিয়ামে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ জমে ওঠে। ম্যাচের ৬ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে মিঠুনের ক্রসে ওয়াহেদ পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হলে সুযোগ হাতছাড়া হয় সফরকারীদের। ১৫ মিনিটে মোবারকের পাসে গোলরককে একা পেয়ে আবারও ব্যর্থ ওয়াহেদ। তবে খেলার ধারার বিপরীতে গোল পেয়ে যায় ওসোতস্পা। ২৪ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে চামানার পাসে ফরোয়ার্ড নারং গোল করে এগিয়ে দেন স্বাগতিকদের (১-০)। পিছিয়ে পড়ে সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে ওঠা কোচ ক্রুইফের শিষ্যরা। ৩২ মিনিটে ওয়াহেদ গোলরককে পরাস্ত করলেও তার দুর্বল হেড গোল লাইন থেকে প্রতিহত করেন ইয়ামামোতো।
৬৬ মিনিটে আবারও গোলবঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। মিঠুনের জোরালো শট গোলপোস্টে প্রতিহত হলে সমতা ফেরানোর সুযোগ হাতছাড়া হয়। দুই মিনিট পরই আরও পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ফের কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল পেয়ে যায় ওসোতস্পা। ডি বক্স থেকে জাল কাঁপান নারং (২-০)। ৭৩ মিনিটে গোলরক সোহেলের দৃঢ়তায় গোল হজম থেকে বেঁচে যায় সফরকারীরা। পোস্টে নেয়া সারবেতের প্রচণ্ড শট পাঞ্চ করে রা করলে ফিরতি বলে শট নিয়েছিলেন নারং। কিন্তু অসাধারণভাবে দতায় বল আয়ত্তে নেন সোহেল। ৮৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে রনির গোলে ব্যবধান কমায় ডি ক্রুইফের দল। ওসোতস্পা রণভাগে ফরোয়ার্ড তকলিসকে ট্যাকল করা হলে রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন (২-১)। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে ক্রুইফ বলেন, ‘দলের দুর্বলতাগুলো নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। আমাদের চেয়ে প্রতিপ অভিজ্ঞ দল, যাদের মুখোমুখি হওয়া সহজ ছিল না।’ অন্যদিকে ওসোতস্পা হেড কোচ থাইল্যান্ড জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার চালেমভুদ বলেন, ‘গতি ও কৌশলে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা খুবই ভাল করেছে। এমনকি আমাদের চেয়েও ভাল খেলেছে তারা। তবে স্ট্রাইকিং জোনে তাদের সমস্যা রয়েছে বলে মনে হয়েছে তার।’ এদিকে আগামীকাল শনিবার থাইল্যান্ডে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ৫ই আগস্ট দেশে ফিরবে মামুনুল বাহিনী।
বাংলাদেশ দল: মামুন খান (গোলরক) (সোহেল), আরিফুল (কেস্ট), নাসির (রেজা), লিঙ্কন, ওয়ালী ফয়সাল (মিশু), জামাল ভুঁইয়া, ওয়াহেদ, মিঠুন (বাবু), মোবারক (তকলিস), এমিলি (রনি)।