দিনাজপুর প্রতিনিদি ॥ দিনাজপুরে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে লাচ্ছা সেমাই তৈরির কারখানা। এসব অস্থায়ী কারখানায় তৈরি হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর লাচ্ছা। তাতে ব্যবহার করা হচ্ছে, পোড়া তেল ও কাপড় প্রিন্টিংয়ের কাজে ব্যবহৃত ডাইং রঙ। এসব লাচ্ছা সেমাই খেলে মানব দেহে উচ্চরক্ত চাপ আলসার, কিডনি ও লিভারসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত এবং ধীরে ধীরে ক্যানসারের মতো বড় ধরনের রোগ হতে পারে এমন আশঙ্কা চিকিৎসকদের। এরপরও প্রতিরোধে নেই কোনই কার্যকর ব্যবস্থা। দেখতে সুন্দর ও আকর্ষণীয় হওয়ায় আগ্রহী হয়ে ক্রেতারা না জেনেই কিনছেন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি বিষাক্ত তেল ও রঙ মেশানো লাচ্ছা সেমাই। দিনাজপুর জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা এসব অস্থায়ী কারখানায় নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বিষাক্ত লাচ্ছা। কোথাও কোথাও ময়দা মাখানো খামিরের কাজ খালি নোংরা পা দিয়েই করছে শ্রমিকরা। মেশিনের অভাবে পা দিয়ে খামির তৈরির কাজ করছে বলে স্বীকার করেছে দিনাজপুর গোপালগঞ্জ এলাকার আরিফ বেকারি শ্রমিক সাইফুল। এসব কারখানার অধিকাংশে’র নেই কোন বিএসটিআই’র লাইসেন্স। অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে চলছে লাচ্ছা তৈরির কাজ। ক্রেতা-সাধারণ ও ভাম্যমাণ আদালতকে ফাঁকি দিতে রাতের আঁধারে খালি পা দিয়েই চলছে ময়দা মাখানো খামির তৈরি আর সারাদিন চলছে লাচ্ছা তৈরি ও ভাজার কাজ। কারখানার সামনে লিখা রয়েছে ‘প্রবেশ নিষেধ।’ এছাড়াও বাইরে থেকে থাকছে গেট লাগানো। গেটে থাকছে তালা ঝুলানো। বেকারি মালিক সমিতির সহযোগিতায় এসব অনুমোদনবিহীন কারখানায় লাচ্ছা সেমাই তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হীরা বেকারি, আরিফ বেকারি, রকি বেকারি, মলি বেকারিসহ লাচ্ছা তৈরি কারখানার কতিপয় মালিক। কিন্তু জেলা বেকারি মালিক সমিতির সভাপতি সাইফুল্লাহ্ জানালেন ভিন্ন কথা। অস্বাস্থ্যকর লাচ্ছা তৈরিতে নিয়োজিত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানালেন। এসব লাচ্ছা সেমাই খেলে মানবদেহে উচ্চ রক্তচাপ, আলসার, কিডনি ও লিভারসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত এবং ধীরে ধীরে ক্যানসারের মতো বড় ধরনের রোগ হতে পারে এমন আশঙ্কা করলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মওদুদ হোসেন।