স্টাফ রিপোর্টার ॥ অনেকটা নীরবেই জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় শফিউল ইসলাম সুহাস। বর-কনে এখন সুহাসের বাসা বগুড়া শহরের জয়পুরপাড়ায় অবস্থান করছেন। কনে সাজিয়া শবনম স্বর্ণালী তার মামাতো বোন। মামাতো বোন হলেও তাদের দু’জনের মধ্যে মন দেয়া-নেয়া চলছিল দীর্ঘ ৭ বছর। রোববার রাতে কাটানারপাড়ার তন্ময় কমিউনিটি সেন্টারে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েতে কাবিননামায় ২ লাখ ১ টাকা দেনমোহর ধরা হয়েছে। নববধূ স্বর্ণালী বগুড়া আর্মস ব্যাটালিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। স্বর্ণালী চার বোন আর এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। বিয়ের অনুষ্ঠানে পারিবারিক সদস্যরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহমান মিতু ও ক্রিকেটার নাসির হোসেন।
বড় ধরনের ধূমধাম ছাড়াই বিয়ে করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সুহাস জানান, এই আয়োজনটা ছিল অনেকটা হঠাৎ করেই মেয়ে পরে উদ্যোগে। মাস তিনেক পর বড় ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। তবে সেই অনুষ্ঠানটিও হবে বগুড়ায়। নববধূকে নিয়ে একবার অনুষ্ঠানের আগে ঢাকা থেকে ঘুরে আসবেন বলে জানান তিনি।
বগুড়ার ক্রিকেট সংগঠক জামিলুর রহমান জামিল জানান, পারিবারিকভাবে নিজেদের মধ্যে এধরনের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নিজেকে উৎফুল্ল মনে করেছি। এদিকে, মিডিয়াকে ফাঁকি দিয়ে এ ধরনের বিয়ের অনুষ্ঠানের পর সোমবার মিডিয়া কর্মীরা তার বাসায় ভিড় জমায়। মিডিয়াকর্মীদের তাদের নিজের তোলা ছবি দেয়া হয়। বগুড়ার মিডিয়াকর্মীদের ফাঁকি দিলেও বিয়ের খবরটি মিডিয়ায় প্রকাশের জন্য ঢাকায় জানানো হয়। সংশ্লিষ্ট মিডিয়া থেকে বগুড়ায় তাদের প্রতিনিধিকে ফোন দিলে প্রতিনিধিরা খবর সংগ্রহে ছুটাছুটি করতে থাকে। তবে, ঢাকায় বিয়ের খবর পাঠিয়ে বগুড়ার সংবাদকর্মীদের না জানানোর ঘটনায় বগুড়ার এক ক্রিকেটারের দিকে সন্দেহের তীর ছুটছে মিডিয়াকর্মীরা। কেননা, ওই ক্রিকেটারের অনেক খারাপ আচরণ সম্পর্কে জানা আছে বগুড়ার মিডিয়াকর্মীদের।