স্টাফ রিপোর্টার ॥ সারা দেশে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব সক্রিয়। এর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে দেশের সব জায়গায়। চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, টেকনাফে দমকা হাওয়ার সঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টিপাত ও মেঘের লুকোচুরি খেলা দেখা যাচ্ছে।
মৌসুমি বায়ু দেশের দণিাঞ্চল থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রভাবিত হবে। তবে বর্তমান অবস্থা এখনও এক থেকে দু’দিন স্থায়ী থাকবে।
মঙ্গলবার আবহাওয়া অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আবহাওয়াবিদ ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের স্ট্রম ওয়ার্মিং সেন্টারে দায়িত্বরত আবদুর রহমান খান বলেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাব সারা দেশে সক্রিয়। এর প্রভাবে সারাদেশেই কম বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দেশের দণিাংশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
দণিাঞ্চলে দমকা হাওয়া বইছে। তবে সারা দেশে এই অবস্থা এখনও এক থেকে দু’দিন স্থায়ী থাকবে। বুধবার ঢাকা শহরে হালকা মেঘ ও রোদের ঘনঘটা দেখা যাবে। তবে দণিাঞ্চলে এ অবস্থা এখনও দু’একদিন স্থায়ী থাকবে।
ঢাকায় কখনও মেঘ, কখনও বৃষ্টির ঘনঘটা দেখা যাবে। গতকাল সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে ৬১ মিলিমিটার। ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৭ মিমি।
মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে টেকনাফে। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ৬১ মিমি। গতকালের চেয়ে মঙ্গলবার ঢাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম। কক্সবাজারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৪৪ মিমি, মংলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৪১ মিমি এবং সিলেটে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৯ মিমি।
দেশের দণিাঞ্চলের চট্রগ্রাম, কক্সবাজার এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাতসহ দমকা হাওয়া বয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে বজ্রপাতও হয়েছে। এ অঞ্চলে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৪৮ কিমি।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সমুদ্র বন্দরসমূহে ৩ নম্বর ও নদী বন্দরসমূহে ১ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে।