বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশে তৈরী পোশাক কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশের উন্নতি এবং মানসম্মত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কারখানার মালিকদের ৫ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ওয়ালমার্ট। উত্তর আমেরিকার ২০টি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান জুলাই মাসে ১০ কোটি ডলার ঋণ সাহায্য দেয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে নিজেদের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ওয়ালমার্টের ৫ কোটি ডলার ঋণের ঘোষণা প্রতিশ্রুত ১০ কোটি ডলার ঋণের অংশ। এলায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি নামক এ ক্রেতা প্রতিষ্ঠান জোট জানিয়েছে, অক্টোবর মাসের মধ্যে তৈরী পোশাক কারখানাগুলোতে মানসম্মত নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবে। অনিরাপদ কোন কারখানাতে তার পোশাক তৈরি করবে না। চীনে মূল্যস্ফীতি এবং ক্রমাগত কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধি হওয়ার পর বিশ্বের অনেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে চলে আসে। ফলশ্রুতিতে, অল্প সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশে প্রায় ১৯০০ কোটি মূল্যমানের তৈরী পোশাক শিল্প গড়ে ওঠে। যত্রতত্র গড়ে ওঠা অনেক কারখানার বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা নিম্নমানের, জরুরি বহির্গমনের সংখ্যা অপর্যাপ্ত এবং অগ্নি নির্বাপন সরঞ্জাম রয়েছে খুবই সামান্য। বাংলাদেশে তৈরী পোশাক কারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চুক্তিবদ্ধ ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ওয়ালমার্ট ছাড়াও রয়েছে টার্গেট কর্পোরেশন, গ্যাপ, জে.সি. পেনি, কোস্টকো হোলসেল কর্প এবং সিয়ার্স হোল্ডিংস কর্প। ওয়ালমার্টকে পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান লি অ্যান্ড ফাং লিমিটেড উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভূমিকা পালন করবে। ইউরোপের বৃহৎ দুই পোশাক ক্রেতা এইচএমবি এবং ইন্ডিটেক্স এসএ পৃথক একটি চুক্তিতে ৬ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ চুক্তির অধীনে তারা ৫ বছরব্যাপী বাংলাদেশে তৈরী পোশাক কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিরীক্ষণ করবে। প্রতিষ্ঠান দুটি তাদের সাহায্য প্রতিশ্রুতির মধ্যে শর্ত রেখেছে কারখানা মালিকদের প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ করানোর মতো মূলধন থাকতে হবে।