বিনোদন ডেস্ক ॥ বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে বম্বে হাইকোর্টে আবেদন জানাল তাঁর পরিবার৷ অভিনেত্রীর মায়ের দাবি, আত্মহত্যা নয়, জিয়াকে খুন করা হয়েছে৷ তাঁর অভিযোগ, খুনের ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে পুলিশ৷ চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ তুলে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন জিয়ার মা রাবিয়া আমিন৷
দাবির স্বপক্ষে যুক্তি হিসেবে স্বতন্ত্রভাবে করা একটি ফরেন্সিক রিপোর্ট আবেদনপত্রের সঙ্গে যুক্ত করেছেন জিয়ার মা৷ তাঁর দাবি, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলে যে লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়, জিয়ার ক্ষেত্রে তা মেলেনি৷ মুখে এবং দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল৷ রাবিয়ার দাবি, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই বাড়িতে ঢোকেন জিয়া৷ সেই সময় একটি ট্র্যাকশ্যুট পরেছিলেন তিনি৷ কিন্তু দেহ উদ্ধারের সময় দেখা গিয়েছে, নাইট গাউন পরেছিলেন জিয়া৷ রাবিয়ার প্রশ্ন, মৃত্যুর আগে কেউ কি পোশাক পরিবর্তন করে? সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল জিয়ার দেহ৷ মায়ের প্রশ্ন, ফ্যানের যা উচ্চতা, তাতে জিয়ার পক্ষে তা ছোঁয়া সম্ভব নয়৷ অভিনেত্রীর মায়ের দাবি, বাড়িতে টুল জাতীয় কোনও উঁচু জিনিস ছিল না৷ তাহলে কী করে ফ্যানের নাগাল পেলেন জিয়া? গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে জিয়ার পরিবার৷
মায়ের অভিযোগ, গোটা ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন জিয়ার বন্ধু সুরজ পাঞ্চোলিই৷ তাঁকে বাঁচাতে পাঞ্চোলি পরিবারের কথামতো চলছে পুলিশ৷ প্রভাবশালী পাঞ্চোলি পরিবারের চাপে তদন্তকারীরা একটি খুনের ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চেষ্টা করছেন৷মেয়ের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন রাবিয়া৷ তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহেই আবেদনের শুনানি হতে পারে৷গত ৩ জুন জুহুর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় জিয়া খানের ঝুলন্ত দেহ৷ ঘটনার এক সপ্তাহ পর ১০ জুন আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তাঁর বন্ধু সুরজ পাঞ্চোলিকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ যদিও, পয়লা জুলাই জামিন পান আদিত্য-পুত্র৷