জেলা প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ ॥ সুরমা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় আরও পাঁচ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো ২৫-৩০ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে আবার উদ্ধার অভিযান শুরুর পর আরো পাঁচটি লাশ পাওয়া যায় বলে ছাতক ফায়ার সার্ভিসের সাব স্টেশন অফিসার মো. তারেক জানান। নদীতে উদ্ধার কাজ এখনো চলছে বলে জানান তিনি।
এর আগে সোমবার রাতে রোকেয়া বিবি (৪০), কোহিনুর মিয়া (১২), রোমান (১২) ও সাকিবসহ (৮) ছয় জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ থেকে শতাধিক বালু-পাথর শ্রমিক নিয়ে ইঞ্জিন চালিত একটি নৌকা নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি যাচ্ছিল। পথে সাড়ে ৮টার দিকে প্রতাপপুর এলাকায় এলে নৌকার ভেতরে রান্নার চুলা থেকে ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। এতে বিস্ফেরণের ঘটনা ঘটে। ভয়ে আতঙ্কে শ্রমিকদের হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এতে নৌকাটি ডুবে যায়।
খালিয়াজুড়ি পাঁচহাটি গ্রামের রোমা বেগম ও রোমেলা বেগম জানান, তারা সিলেটের ভোলাগঞ্জ থেকে ইঞ্জিন নৌকায় চড়ে বাড়ি আসছিলেন। পথে প্রতাপপুরে রান্নার চুলার আগুন ইঞ্জিনে ছড়িয়ে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে নৌকা ডুবে যায়। এখন পর্যন্ত ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রাতে ঘনকুয়াশা থাকায় উদ্ধার কাজ বন্ধ রাখা হয়। পরে ভোর থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হলে আরও ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রতাপপুর গ্রামের ইউপি সদস্য নানু মিয়া বলেন, ‘দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। আমরা গ্রামবাসীকে নিয়ে অন্তত ৫০-৬০ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় আরো ২৫-৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।’
দোয়ারাবাজার থানার এস আই হারুন বলেন, ‘নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’