বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ বিয়ে হয়েছে খুব বেশিদিন হয়নি। এখনই খুব বিপদে আছেন আপনি। বাতি নেভানো ছাড়া ঘুমাতেই পারেন না আপনি অথচ আপনার স্বামী সারা রাত বাতি জ্বালিয়ে রাখে। ভেজা বাথরুম একেবারেই পছন্দ না আপনার। কিন্তু আপনার সঙ্গীটি বাথরুমে গেলেই সেটাকে ভিজিয়ে একাকার করে ফেলে। আপনি হয়তো শুটকি মাছ খেতে ভালোবাসেন, কিন্তু ঘরে শুটকি রাঁধলেই আপনার স্বামী ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে যান। এমন পরিস্থিতিতে কি করবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না। বিয়ের আগে এতো কিছু জানলে হয়তো বিয়েটাই করতেন না আপনি!
সঙ্গীর স্বভাবের ভিন্নতার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার ৫টি সহজ উপায়
এমন পরিস্থিতি সব যুগলের জীবনেই আসে। নতুন প্রেম হলে অথবা বিয়ের পর নতুন সংসারে এধরণের সমস্যা বেশি হয়। তখন অনেক সময় এসব ছোটখাটো সমস্যার কারণে সম্পর্কটাই বিষিয়ে ওঠে। একটু ধৈর্য্য ধরলেই এই সমস্যার সাথে মানিয়ে নিতে পারবেন নিজেকে। আসুন জেনে নেয়া যাক সঙ্গীর স্বভাবের ভিন্নতার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার ৫টি সহজ উপায় সম্পর্কে।
সময় নিন
দুজনের মধ্যে অমিল থাকতেই পারে। কিন্তু তা নিয়ে অহেতুক মাথা গরম হই চই না করে সময় নিন। প্রথম প্রথম যে বিষয়টা আপনি মেনে নিতে পারছেন না কিছুদিন গেলেই সেটাকে স্বাভাবিক লাগে। ছোট খাটো অমিল নিয়ে অহেতুক নিজেদের সম্পর্কের মধুরতা নষ্ট করা উচিত হবে না।
আলোচনা করুন
দুজনের অমিল গুলো নিয়ে দুজন আলোচনা করুন। আপনার কোন কোন স্বভাবে আপনার সঙ্গীর সমস্যা হচ্ছে সেটা তাকে জিজ্ঞেস করুন। সেই সঙ্গে আপনার কোন কোন ব্যাপারে সমস্যা হচ্ছে সেটাও তাকে খুলে বলুন। দুজনের অমিল গুলো নিয়ে দুজন আলাপ আলোচনা করলে অনেক সমস্যাই সমাধান করা সম্ভব। এতে একে অপরের সুবিধা অসুবিধার দিকে খেয়াল রাখতে পারবে এবং দুজনের প্রতি দুজনের ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে।
নিজের নেতিবাচক দিক গুলো খুঁজুন
আপনার সঙ্গীর খারাপ অভ্যাস গুলো নিয়ে মাথা ঘামানোর আগে নিজের নেতিবাচক দিক গুলো খুঁজে বের করুন। নিজের মন্দ স্বভাব, বদ অভ্যাস গুলো খুঁজে বের করে নিজের মনের কাছে প্রশ্ন করুন যে ‘আমার সঙ্গী আমার এসব অভ্যাস মেনে নিতে পারলে আমি কেনো পারছি না তার অভ্যাস গুলোকে মেনে নিতে?’
পরস্পরের প্রতি সম্মান রাখুন
সম্পর্কের ক্ষেত্রে একে অপরের প্রতি সম্মান রাখাটা খুব জরুরী। দুজনেরই উচিত দুজনের পছন্দ অপছন্দ কে গুরুত্ব দেয়া এবং সম্মান করা। আপনার সঙ্গী যদি রাত জেগে খেলা দেখতে ভালোবাসে তাহলে তাকে দেখতে দিন। এতে যদি আপনার ঘুমাতে সমস্যা হয় তাহলে কানে হেডফোন গুঁজে সুন্দর মিউজিক শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে যান। আপনি যদি আপনার সঙ্গীর পছন্দকে সম্মান দেখান তাহলে আপনার সঙ্গীও আপনার সুবিধা অসুবিধার বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগী হবে।
গ্রহণ করার চেষ্টা করুন
দুটি মানুষ সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশে বেড়ে ওঠে। তাই তাদের স্বভাব, আচার, আচরণ আলাদা হবে এটাই স্বাভাবিক। এটাকে মেনে নিলেই দাম্পত্য জীবন সুখের হয়। তাই দুজনেরই উচিত দুজনের স্বভাবের ভিন্নতা গুলো মেনে নেয়ার চেষ্টা করা।