স্টাফ রিপোর্টার ॥ পর্যটকদের পদচারণায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে পর্যটন নগরী রাঙামাটি। অগণিত পর্যটকের ঢল নামতে শুরু করেছে নৈসর্গিক এ জনপদে। পর্যটকদের সরব উপস্থিতি রাঙামাটি যেন উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে।
রাঙামাটির নৈসর্গিক আবেশ আর দর্শনীয় স্থান ও নিদর্শনগুলো পর্যটকদের আকর্ষণ কারে সহজেই। এসব আকর্ষণীয় স্পট দেখতে প্রতি বছর শীত মৌসুমে পর্যটকরা রাঙামাটি এসে ভিড় জমায়। পর্যটকদের পদচারণায় যেন উৎসবের জোয়ারে ভাসছে পাহাড় কন্যা রাঙামাটি।
অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে আসছেন রাঙামাটিতে ঘুরে-বেড়ানোর জন্য। বিশেষ করে সপ্তাহের ছুটির দিন প্রতি শুক্র ও শনিবারে ভিড় জমে বেশি। অবকাশ কাটাতে হাজার হাজার আগত পর্যটকদের বাস, মাক্রোবাস ও প্রাইভেট কারের বহর ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পিকনিকের বাসগুলো ভিড়ে ঠাসা হয়ে আছে। যেন তিল পর্যন্ত জায়গা খালি নেই।
বেড়াতে আসা পর্যটকদের ভিড়ে শহরের সবকটি আবসিক হোটেল, মোটেল, সরকারি রেস্টহাউসে লোকজনের ভিড়। কোথাও রুম খালি থাকছে না। লেগে রয়েছে অগ্রিম বুকিং। রুমখালি না পেয়ে পিকনিকে আসা অনেক পর্যটক বাসেও রাতযাপন করছেন বলে জানা গেছে।
সরকারি সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে পিকনিক পার্টির আগমনও অধিক লক্ষণীয়। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের রাঙামাটি মোটেল ছাড়াও এখন শহরের প্রায় সবগুলো আবাসিক হোটেল, সরকারি রেস্ট হাউস ও সার্কিট হাউসে সবসময় ভিড় থাকছে।
আনন্দ উপভোগ করতে বাইরে থেকে আসা এসব লোকজন ছুটে যাচ্ছে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের দুটি পাহাড়ের সংযোগ দেয়া কাপ্তাই হ্রদের ওপর দিয়ে নির্মিত সেই মনোরম ঝুলন্ত ব্রিজটি দেখতে।
এব্যাপারে রাঙামাটি পর্যটন মোটেল কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আখলাকুর রহমান জানান, দেশে হরতাল, অবরোধ না থাকার কারণে রাঙামাটিতে পর্যটক আসতে শুরু করেছে। প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটছে পর্যটন কমপ্লেক্সে। এতে পর্যটন খাতে রাজস্ব আয়ও বেড়ছে। বর্তমানে প্রতিদিন গড় আয় দুই থেকে তিন লাখ টাকা আয় হচ্ছে।