দ্বিতীয় ধাপে জামায়াত থেকে এগিয়ে থাকতে চায় জাপা

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে জামায়াত থেকে এগিয়ে থাকতে চায় জাতীয় পার্টি। উপজেলা নির্বাচনে অন্ততপক্ষে ১৫ থেকে ২০টি চেয়ারম্যান পদ নিজেদের দখলে রাখতে জাতীয় সংসদের বিরোধী নেতা রওশন এরশাদ চেষ্টা করছেন। যদিও দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দলীয় সফরে রয়েছেন উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে। প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জাপা’র প্রার্থীদের পরাজয়ে হতাশ তিনি। নির্বাচনে দল সমর্থিত কেউ বিজয়ী না হওয়ায় হতাশ রওশন এরশাদও। জাতীয় সংসদের গৃহপালিত বিরোধী দল হলেও উপজেলা নির্বাচনে একটিতেও জয় পায়নি জাপা। দল এক নেতা বিজয়ী হলেও তাকে দলীয়ভাবে সমর্থন দেয়া হয়নি।

তবে রাজনীতির ময়দানে কোণঠাসা অবস্থানে থাকা জামায়াতে ইসলামী ১৩টি উপজেলায় জয়লাভ করেছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদেও তাদের ৩৩ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এমন অবস্থায় সংসদে বিরোধী দলের অবস্থান নিয়ে হতাশ দলীয় নেতাকর্মীরাও। যদিও দলের মধ্যেই আলোচনা আছে ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে রাজনৈতিক দল হিসেবে মৃত্যু হওয়া জাতীয় পার্টিকে থেরাপি দিয়েও উপজেলায় লাইমলাইটে আনা যাবে না। এদিকে উপজেলা নির্বাচনের বিষয়ে শনিবার রাতে সংসদ নেতা শেখ হাসিনার সঙ্গে রওশন এরশাদের টেলিফোনে কথা হয় বলে জাতীয় পার্টির একটি সূত্র জানিয়েছে। সূত্র জানায়, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম পর্যায়ের নির্বাচনে যেখানে জাপা’র শক্ত প্রার্থী আছে সেই সব জায়গায় তাদেরকে ছাড় দিতে চায় আওয়ামী লীগ। যেভাবে জামায়াতকে বিভিন্ন উপজেলায় ছাড় দিয়ে বিএনপি এগিয়ে দিয়েছে। এনিয়ে একটি সমঝোতাও হয়েছে শেখ হাসিনার সঙ্গে রওশন এরশাদের।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় গুলশানের বাসায় কয়েকজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন রওশন এরশাদ। বৈঠকে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিরোধীদলীয় হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফকরুল ইমাম ও বিরোধীদলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক বেলা ১২টা পর্যন্ত চলে। প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় দলের নামে একমাত্র প্রার্থী এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু জিতলেও তার প্রতি সমর্থন ছিল না এরশাদ কিংবা রওশনের। স্থানীয় জাপায়ও তার কোন পদ নেই। জেলা জাতীয় পার্টি তাকে সমর্থন দেয়। পাশাপাশি ব্যক্তি ইমেজে জিতেন তিনি। উপজেলায় কেন এই ব্যর্থতা, কিভাবে জামায়াতের চেয়ে এগিয়ে থাকা যায়- এসব বিষয় আলোচনা হয় গতকালের বৈঠকে। একই সঙ্গে দিকনির্দেশনা দেয়া হয় কিভাবে জাপার প্রার্থীদের উপজেলায় জিতিয়ে আনা যায়। এতে বলা হয়- ঢাকায় প্রার্থীদের ডেকে রওশন এরশাদ কথা বলবেন।

সময় স্বল্পতার জন্য যাদেরকে ঢাকায় ডেকে এনে কথা বলা সম্ভব নয়, তাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলবেন রওশন এরশাদ। যেখানে জাপা’র একাধিক বা বিদ্রোহী প্রার্থী আছে তাদেরকে যে কোন মূল্যে বসিয়ে দিতে হবে বলে নির্দেশ দেয়া হয়। গাইবান্ধা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সদর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ সরকার আবারও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন সেখান থেকে। মাঠে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়ে তার অবস্থান শক্ত। এই ধরনের প্রার্থীকে আওয়ামী লীগ ছাড় দেবে বলে দলীয় সূত্র জানায়। এদিকে উত্তরাঞ্চলে সফররত পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে গতকাল সকালে দেখা করেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী একেএম মাহবুবুল হক। মাহবুবুল হকের জন্য এসময় এরশাদ দোয়া করেন। দ্বিতীয় ধাপে আপনাদের আওয়ামী লীগ ছাড় দেবে বলে শোনা যাচ্ছে- এমন প্রশ্নে চেয়ারম্যান প্রার্থী একেএম মাহবুবুল হক গতকাল মানবজমিনকে বলেন আমি শতকরা ৭৫ ভাগ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। নির্বাচনের বিষয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার মানবজমিনকে বলেন দ্বিতীয় ধাপ থেকে আমরা ভাল করবো। (মানবজমিন)

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫