বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
খুলনা: রেল দুর্ঘটনা ও পেট্রোলবোমায় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন খুলনা পাবলিক কলেজের ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা। তাদের এই প্রযুক্তির মডেল প্রদর্শন করেছেন খুলনা বিভাগীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায়।
জিলা স্কুলের কলেজ শাখা ভবনে শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনদিন ব্যাপি খুলনা বিভাগীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করা হয়। বিভাগীয় প্রশাসন এ মেলার আয়োজন করেছে। বিভাগের ৯ জেলা থেকে ২৭টি স্কুল ও কলেজের ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা এতে অংশ নিয়েছেন।
তিনদিন ব্যাপি এ প্রযুক্তি মেলা শেষ হবে রোববার।
দেশে হরতাল ও অবরোধের সময়ে দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন স্থানে রেললাইনের পাটি তুলে ফেলে নাশকতা সৃষ্টি করছে। এতে যেমন রেলের ক্ষতি হচ্ছে তেমনি ঝড়ে যাচ্ছে প্রাণ।
প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও যাত্রীবাহী বাসে, মালবাহী ট্রাক, পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন স্থানে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষের প্রাণহানিও ঘটেছে। এসব দিক বিবেচনা করে খুলনা পাবলিক কলেজ বিজ্ঞান ক্লাব রেল দুর্ঘটনা ও পেট্রোলবোমার ক্ষতি থেকে কিভাবে রক্ষা পাওয়া যায় সেই দিক বিবেচনা করে এ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে তারা।
কযঁষহধ-ঞবপহড়ষড়মু
পাবলিক কলেজের বিজ্ঞান ক্লাবের টিম লিডার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শামিম বাংলামেইলকে জানান, আমাদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তিতে তেমন আর্থিক খরচ নেই বললেই চলে।
তিনি জানান, এটি প্রতিরোধে রেলের পাটির পাতের ভিতর দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম ভোল্টেজের বিদ্যুত প্রবাহিত করে কিছু দূর পর পর সিগনাল বাতি জ্বালিয়ে রাখতে হবে। যদি কোনো পাতির সংযোগ খুলে ফেলা হয় তখন ওই স্থানের বাতি জ্বলবে না। তখন ধরে নিতে হবে সামনে বিপদ রয়েছে।
এ ক্ষেত্রে স্টেশনে দাঁড়ানো অবস্থায় চালককে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত হতে হবে।
বিজ্ঞান ক্লাবের অপর সদস্য শাহরিয়ার বাংলামেইলকে জানান, পেট্রোলবোমার ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া খুব সহজ। এক্ষেত্রে নিজের শরীরের পোশাকে ফিটকিরির দ্রবণ মিশিয়ে নিলে সহজে ওই পোশাকে আগুন লাগবে না।
তিনি বলেন, ‘পোশাকে ফিটকিরির দ্রবণ মিশিয়ে সেটি শুকিয়ে নিয়ে পরতে হবে। ফিটকিরির দ্রবণ মিশ্রিত থাকায় ওই পোশাকে সহজে আগুন ধরবে না। কমপক্ষে ২/৩ মিনিট সময় নেবে। আর এই সময়ের মধ্যে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব।’ তিনি এটিকে লাইফ জ্যাকেট নাম দেয়া হয়েছে বলে জানান।
পাবলিক কলেজের বিজ্ঞান ক্লাবের সমন্বয়কারী ড. মো. বেনিয়াজ জামান বাংলামেইলকে বলেন, ‘বর্তমানে রেলে নাশকতা ও পেট্রোলবোমা হামলার ঘটনা ঘটছে। সে দিক বিবেচনা করে শিক্ষার্থীরা এ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে উদ্যোগী হয়েছেন।’
তিনি বলেন, মেলায় দুর্ঘটনা প্রতিরোধের এ মডেল মেলায় উপস্থাপন করা হয়েছে। এটি কার্যকরের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকেই এগিয়ে আসতে হবে। বাংলামেইল২৪ডটকম