বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: দলের ভিশন’২০৩০ ঘোষণা দিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। এ ভিশন’২০৩০ এর খসড়া পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, অচিরেই চূড়ান্ত করে সেটি জনগণের সামনে উপস্থাপন করা হবে।
ভিশন’২০৩০ এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরে জনগণই দেশের মূল মালিক বলে মন্তব্য করেন তিনি। সুখী, সমৃদ্ধ, আধুনিক ও আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই এ ভিশন’২০৩০ এর লক্ষ্য বলেও জানান খালেদা জিয়া।
শনিবার (১৯ মার্চ) দুপুর পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলের বক্তব্যে এ পরিকল্পনা উত্থাপন করেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছেন। ইতিবাচক রাজনীতির ধারা প্রবর্তন করেছিলেন।
তিনি বলেন, বিশ্ব এখন বদলে গেছে। কিন্তু মেধা ও দক্ষতা থাকা সত্বেও আমাদের দেশ এখনও পিছিয়ে রয়েছে। দেশে নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা নেই এখন। জাতি হিসেবে আমাদের বর্তমান এখন সংকটে আর ভবিষ্যৎ অন্ধকার-অনিশ্চিতে। এ পরিস্থিতিতে জাতিকে দেখাতে হবে নতুন দিক-নির্দেশনা।
এই কাউন্সিল সেই পথ দেখাবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি প্রধান।
তিনি বলেন, বিরোধী দলে থাকতেও বিএনপি দেশকে এগিয়ে নেওয়ার রাজনীতি করে এসেছে। গঠনমূলক সমালোচনা ও পরামর্শ দিয়ে এসেছে। কিন্তু কখনো ক্ষমতাসীন দলের ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি।
খালেদা বলেন, এখনও বিএনপিই পারে শুধু ইতিবাচক ধারার রাজনীতির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে।
এর আগে বেলা পৌনে এগারটায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন খালেদা জিয়া। এ সময় দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পতাকা উত্তোলনের সময় জাতীয় সংগীত এবং পরে দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
এরপর কেন্দ্রীয় নেতারা কাউন্সিল মঞ্চে গেলে প্রথমেই শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। পরে নেতাকর্মীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এর আগে সকাল দশটা ৪০ মিনিটের দিকে কাউন্সিলের ভেন্যুতে উপস্থিত হন খালেদা জিয়া। এ সময় হাজার হাজার নেতাকর্মী স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানান তাদের নেত্রীকে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ মিলনায়তন চত্বর এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্ব-উত্তর অংশে কাউন্সিলে এসেছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। সকাল থেকে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে এখানে এসেছেন তারা।
তিন হাজার ১শ’ কাউন্সিলর, প্রায় ১০ হাজার ডেলিগেট, আমন্ত্রিত অতিথি, বিদেশি মেহমান ও দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী মিলে প্রায় ৩০/৩৫ হাজার মানুষের অংশগ্রহণে এবারের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে।