বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
সাম্প্রতিক কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশ ‘হুমকিতে’ রয়েছে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে দেশটির পক্ষ থেকে এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়।
ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের উপ মুখপাত্র মার্ক সি টোনার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কয়েকটি হামলা ও হত্যাকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততার দাবি করেছে আইএস ও তালেবান— একথা উল্লেখ করে এক সাংবাদিক জানতে চান বাংলাদেশে পরিস্থিতি কতোটা গুরুতর।
জবাবে মার্ক সি টোনার বলেন, ‘এ ধরনের কয়েকটি দাবির বিষয়ে আমরা অবগত এবং বাংলাদেশে পরিস্থিতি বেশ জটিল। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে বলেছি— বর্বর এই হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলোর তদন্ত করতে, যাতে এসবের পেছনে কারা জড়িত তা চিহ্নিত করা যায়।’
তিনি বলেন, ‘অনেক পক্ষই হামলার দায় স্বীকার করছে। এসব দাবি বিশ্বাস বা অবিশ্বাস— কোনোটিই করার কারণ নেই। তবে যেটা পরিষ্কার তা হচ্ছে— বাংলাদেশ হুমকিতে। আমি বোঝাতে চাচ্ছি— গত কয়েক সপ্তাহে আমরা বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড, বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড দেখেছি এবং আমরা চাই বাংলাদেশের সরকার তার নাগরিকদের রক্ষা করতে সম্ভব প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।’
গত সোমবার বিকেলে ঢাকার কলাবাগানের নিজ বাসায় খুন হন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএস এইডের কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব তনয়। এ ঘটনার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করেন।
জন কেরির ওই টেলিফোন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টোনার বলেন, ‘টেলিফোন করে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় চলমান তদন্তে সহায়তা প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। বিশেষ করে গত সপ্তাহের ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার, যেখানে মানবাধিকার নিয়ে কর্মরত আমাদের নিজেদের এক কর্মী ও তার বন্ধু নিহত হয়েছেন।’
টোনার বলেন, ‘একই সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন যাতে এই হামলার এবং সেখানে সাম্প্রতিক এ ধরনের আরো হামলার ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হয়। পাশাপাশি হামলার ঝুঁকিতে আছে— এমন ব্যক্তিদের নিরাপত্তা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করারও অনুরোধ জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।’