আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
দীর্ঘ দুই বছরের জরুরি পরিস্থিতির অবসানের পর এবার বিতর্কিত সন্ত্রাস বিরোধী আইন প্রণয়ন করলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ২০১৫ সালের নভেম্বরে সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটিতে দুই বছরের জন্য জারি করা জরুরি পরিস্থিতি ১ নভেম্বর শেষ হয়েছে।
জরুরি পরিস্থিতি শেষ হতে না হতেই মঙ্গলবার ম্যাক্রোঁ বিতর্কিত সন্ত্রাস বিরোধী আইন প্রণয়ন করেন। এই আইনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ঘরবাড়ি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ যে স্থানে যে কোন মুহুর্তে তল্লাশি চালানোর অনুমোদন দেয়া হয়। নতুন এই আইনে পুলিশ চাইলে কোন ওয়ারেন্ট বা বিচার বিভাগীয় আদেশ ছাড়াই ঘরবাড়ি তল্লাশি করতে পারবে ও গ্রেপ্তার করতে পারবে। এছাড়া এই আইনে ধর্মীয় স্থানগুলোতে অতিরিক্ত জনসমাগমে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
মানবাধিকার গোষ্ঠিগুলো বলছে, সন্ত্রাস বিরোধী এই নিরাপত্তা আইন নাগরিক অধিকারের জন্য হুমকি। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠিগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, এটি পুলিশকে বিশেষ ক্ষমতা দিবে এবং দেশে একটি স্থায়ী জরুরি পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এর আগে এক বিবৃতিতে ইউএনএইচসিআর জানায়, একের পর এক সন্ত্রাসী হামলার কারণে ফ্রান্সে মুসলিমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
সন্ত্রাসবাদ দমনের বিতর্কিত আইন নিয়ে মানবাধিকার কর্মীদের সমালোচনার প্রেক্ষিতে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে ম্যাক্রোঁ বলেন, এই আইন কোন জরুরী অবস্থার জন্য প্রণয়ন করা হয় নি। আমাদের নিরাপত্তা সুরক্ষাও নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধির জন্য এই আইন বাস্তবায়ন করা হবে। আমরা ইউরোপীয় কনভেনশনের নাগরিক অধিকারের ওপর পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে এই আইন প্রণয়ন করেছি। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে আমাদের লড়াই চলবে।
সূত্র: আনাদুলু এজেন্সি, আইউইটনেস নিউজ।