আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
সোমবার ইয়েমেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশটির ক্ষমতা নিয়ে একধরনের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বিমান হামলার মাধ্যমে হুথি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো মুক্ত করার চেষ্টা করছে। এজন্য সাধারণ জনগণকেও হুথি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে দূরে সরে যেতে পরামর্শ দিচ্ছে তারা।
নিহত সালেহ’র সমর্থক ও হুথি বিদ্রোহীদের মধ্যে চলা সংঘর্ষের মাঝেই পশ্চিমা সমর্থিত ইয়েমেন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মানসুর হাদি তার অনুগত বাহিনীকে রাজধানী সানায় আক্রমনের নির্দেশ দিয়েছেন।
হাদি রাজধানী সানার পূর্ব দিকে বসবাসরত ভাইস প্রেসিডেন্ট আলি মোহসেন আল আমিরকে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে শহরটির দিকে এগিয়ে যেতে নির্দেশনা দিয়েছে। সামরিক বাহিনী শহরটির পূর্ব থেকে উত্তর দিকে এগিয়ে যাবে বলেও জানান তিনি। এছাড়াও হুথি বিদ্রোহী দল থেকে সরে আসা বিদ্রোহীদের ক্ষমা করা দেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, সৌদি ও পশ্চিমা সমর্থিত হাদি সরকারকে হঠাতে হুথিদের সমর্থন দেয়া সালেহ ২০১৪ সালে রাজধানী সানাসহ আরবীয় পেনিনসুলার একটি বড় অংশ দখল করে নেয়। গত বুধবার সালেহ অনুগত বাহিনীর সাথে মসজিদ দখলকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা যায়। এপর্যায়ে দেশটির উত্তরাঞ্চলের উপর অবরোধ তুলে নিতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটকে আলোচনার প্রস্তাবনা জানানোতে সালেহকে হত্যা করে হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠি।
এদিকে সালেহ সমর্থিত কংগ্রেস পার্টি থেকে তার মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করা হয়েছে। সালেহর মৃত্যুতে হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠিকে অভিযুক্ত করে তারা বলে, ‘দেশ রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন তিনি।’ এএফপি