স্টাফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুরের সদর উপজেলার নয়নপুর এলাকায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে স্বামী পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত চম্পা বেগম (৩০) পটুয়াখালীর গলাচিপা থানার বালিরহাওলা এলাকার নুরুল গাজীর মেয়ে। তিনি রাজেন্দ্রপুর এলাকার এনএজেড কারখানায় চাকরি করতেন। স্বামী রফিকুল ইসলামের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নিজ মাওনা এলাকায়। গত বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। হোতাপাড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, চম্পার দেহে একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। স্বামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
নিহতের ভাই মোহাম্মদ আলম গাজী ও স্থানীয়রা জানান, এনএজেড পোশাক কারখানার চাকরি করার সময় প্রায় ১০ বছর আগে চম্পা ও রফিকের বিয়ে হয়। এটা উভয়ের দ্বিতীয় বিয়ে। এক পর্যায়ে দাম্পত্য কলহের কারণে চম্পা ও রফিক আলাদাভাবে বসবাস শুরু করেন। রফিকও তৃতীয় বিয়ে করে অন্যত্র বসবাস শুরু করেন। বিয়ের বিষয়টি চম্পা জানত না। সম্প্রতি তৃতীয় বিয়ের ঘটনা জানাজানির পর চম্পার সঙ্গে রফিকের সম্পর্কের অবনতি হয়।
বুধবার রাতে রফিক আবার চম্পার বাসায় আসে। ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে না আসায় এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রাত ২টার দিকে পাশের ভাড়াটিয়া চম্পার চিৎকার শুনে ঘর থেকে বের হয়ে রফিককে তার ঘর থেকে বের হয়ে চলে যেতে দেখেন এবং ঘরে চম্পার রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান। পরে বিষয়টি বাড়ির মালিক ও চম্পার স্বজনকে জানালে তারা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে রাতে জয়দেবপুর থানার হোতাপাড়া ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।