বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
হেলিকপ্টারে চড়ে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী এলেন ঢাকায় এবং মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী গেলেন সিলেটের জকিগঞ্জে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হেফাজত আমির তার গ্রামের বাড়ি উত্তর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া শিলক বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে একটি বেসরকারি সংস্থার হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম ত্যাগ করেন।
উদ্দেশ্য রাজধানী ঢাকার টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে চলমান বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেওয়া।
এ সময় হেফাজত আমিরের সঙ্গে সফরসঙ্গী হন তার পুত্র হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানী।
এ ব্যাপারে মাওলানা আনাস মাদানী মোবাইল ফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে হেফাজত আমির ইজতেমা মাঠে উপস্থিত হন। সেখানে তিনি জুমার নামাজ আদায় করেন। শনিবার আখেরি মোনাজাত পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানে থাকবেন।
এদিকে সকাল ১০টায় অপর একটি বেসরকারি হেলিকপ্টারে হাটহাজারী পৌরসভার হাতিনার দীঘিসংলগ্ন ঈদগাহ ময়দান থেকে সিলেটের জকিগঞ্জে গিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জোনায়েদ বাবুনগরী।
সেখানে তিনি জামিয়া মুহাম্মাদীয়া নামে একটি মাদ্রাসার শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বলে জানিয়েছেন বাবুনগরীর ব্যক্তিগত সহকারী মাওলানা ইনামূল হক ফারুকী।
তিনি আরও জানান, উক্ত মাদ্রাসার অনুষ্ঠান শেষে বিকাল সোয়া ৪টায় একই হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় আসেন। সেখানে একটি মাহফিলে অংশ নিয়ে সড়ক পথে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির রামগড়ে আরেকটি মাহফিলে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সর্বশেষ ওই মাহফিল শেষে তিনি সড়কযোগে হাটহাজারী মাদ্রাসায় ফিরবেন।
জানা যায়, দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গীর বাটা ভবনের কাছে আল্লামা শফীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি অবতরণ করে। এরপর গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নিজের গাড়িতে ড্রাইভ করে আল্লামা শফীকে মাঠে নিয়ে যান। ইজতেমা ময়দানের বিদেশি খিত্তায় একটি বিশেষ ভবনে তাকে রাখা হয়েছে। শনিবার আখেরি মুনাজাত শেষে তিনি আবার হাটহাজারী ফিরে যাবেন।