বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
নারায়ণগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার ও মসজিদ কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হেসেন ও সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নাসহ ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মুন্না বর্তমানে মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক।
সোমবার ভোরে শহরের নিতাইগঞ্জের নলুয়া এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে রোববার গভীর রাতে মসজিদ কমিটির বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষে ২০ থেকে ২২ জন আহত হয়। দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে উভয় গ্রুপের লোকজনই আগ্নেয়াস্ত্রসহ ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর হামলা চালায়। এ সময় উভয় গ্রুপের লোকজনের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এলাকাবাসী জানান, সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। এতে চারদিকে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে নিতাইগঞ্জ এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আবারও যেকোনো সময় সংঘর্ষ লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় বর্তমান কাউন্সিলর কবির হোসেন ও সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেন।
কবির হোসেনের মামলায় কামরুল হাসান মুন্নার বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। এতে অভিযোগ করা হয় মুন্না ধারালো ছুরি দিয়ে কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করে। এ মামলায় কামরুল হাসান মুন্না, রকিবুল হাসান লিয়ন, হুমায়ন কবির ও শ্যামল শীলকে আসামি করা হয়। তাদের সাতদিনের রিমাণ্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে কামরুল হাসান মুন্নার দায়েরকৃত মামলায় কাউন্সিলর কবির হোসেন, বিপু, কালা ফারুখ, আমিন, ওবায়দুল্লাহ, সাহবুদ্দিন, সুজন মিয়াসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদেরও সাত দিনের রিমাণ্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। কবিরের বিরুদ্ধেও ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ওসি কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মসজিদ কমিটি নিয়ে বিরোধে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় কবির ও মুন্নাসহ ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।