ভারতের নাগরিকত্ব বিলের উদ্দেশ্য কী নির্বাচন?

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাস হওয়া দেশটির সংশোধিত নাগরিকত্ব বিলের উদ্দেশ্য বুঝতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এই বিলে বাংলাদেশ-সহ প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে ধর্মীয় নিপীড়নে পালিয়ে যাওয়া সংখ্যালঘুরা ভারতে নাগরিকত্ব পাবেন বলে দাবি নয়াদিল্লির।

মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এই বিল কেন…আমি বুঝতে পারছি না। মুচকি হেঁসে শেখ হাসিনা বলেন, এটার উদ্দেশ্য কী নির্বাচন?

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি কখনই মনে করেন না যে, এই বিলের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় নিপীড়নের জন্য বাংলাদেশকে দোষারোপ করার অর্থ বহন করে। আমি এরকম মনে করি না। বাংলাদেশে এ ধরনের (ধর্মীয় নিপীড়ন) ঘটনা নেই। কিছু ঘটনা ঘটছে। কিন্তু আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, ধর্মীয় চরমপন্থা এবং সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। আর এটা শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, ভারতের মানুষও এই বিল নিয়ে খুশি নয়। আমি মনে করি, উত্তেজনা তৈরি করে এমন কোনো কাজ ভারতের করা উচিত নয়।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসাম এবং অন্যান্য এলাকায় (বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে) অপ্রতিরোধ্য বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতো। কিন্তু তার সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ায় এ ধরনের ঘটনা আর ঘটছে না। ‘প্রতিবেশি দেশ হিসেবে তাদেরও এসব কিছু বিবেচনা করা উচিত।’ তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বিশাল জনসংখ্যা রয়েছে এবং দারিদ্রের হার প্রচুর। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি প্রতিবেশিদের বলেছি যে, আমাদের কমন একটা শত্রু আছে- দারিদ্র; এর বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে লড়তে হবে।’
বুদ্ধিজীবী ও অ্যাক্টিভিস্টদের ওপর নিপীড়নের ঘটনার ব্যাপারে তিনি বলেন, ২০১৬ সালের পর থেকে কোনো বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। শেখ হাসিনা বলেন, ব্লগার এবং অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের হত্যা (আমাদের দেশে) একটি নতুন ঘটনা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। দেশের মানুষ এবং সরকার পরিষ্কারভাবে এসব হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং হোতাদের ধরতে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

অস্থিতিশীলতা তৈরি করে এমন কার্যকলাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের জন্য একটি স্পেশাল টাস্ক গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। এছাড়া যারা হুমকি পেয়েছেন তাদেরকে পুলিশের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৬ সালের পর এখন পর্যন্ত কোনো ব্লগার কিংবা অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট হত্যাকাণ্ড ঘটেনি; যা সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কার্যকর প্রতিফলন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
232425262728  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫