আকরাম হোসেন রিপন
চীফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুর: কাপাসিয়ায় তালিকাভুক্ত এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের পর পুলিশের উপর হামলা করে আসামী ছিনিয়ে নিয়েছে ওই মাদক ব্যবসায়ীর সহযোগীরা। ভাংচুর করা হয় পুলিশের ব্যবহৃত সিএনজি। এ ঘটনায় ফয়সাল মাহমুদ নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে শনিবার দুপুরে গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার খিরাটি মানিক বাজার এলাকায়। এ ব্যাপারে থানার এএসআই মোঃ কফিল উদ্দিন বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, কাপাসিয়া থানার এএসআই মোঃ কফিল উদ্দিন বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী খিরাটি গ্রামের দুলাল মিয়ার পুত্র মোঃ তারেক (২৫) কে ধরতে উপজেলার ওই এলাকায় যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘাগটিয়া ইউনিয়নের খিরাটি আশরাফিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা মসজিদে অবস্থান নেয়। টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী তারেক পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ পিছু ধাওয়া করে তারেককে ৮ পিস ইয়াবাসহ আটক করে এবং পুলিশের ব্যবহৃত সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় উঠায়। খবর পেয়ে তারেকের ভাই মাসুমের নেতৃত্বে পুলিশের উপর আসামীরা আক্রমন করে এবং ধস্তাধস্তি করে তাকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এই সুযোগে মাদক ব্যবসায়ী তারেক এএসআই কফিল উদ্দিনের বাম হাতের বৃদ্ধাংগুলিতে কামড় দিয়ে মারাত্বক ভাবে আহত করে পালিয়ে যায়। পুলিশ আসামী তারেককে ধরতে তাদের পিছু ধাওয়া করলে আসামী ফয়সাল মাহমুদ (২৫), মিল্টন (৩০), দুলাল মিয়া (৫৫), ফারুক (৫২), জুয়েল (৩০), মনির হোসেন (৪০)সহ আরো ৪/৫ জন পুলিশের উপর অতর্কিতে আক্রমণ করে এলোপাথারী মারপিট করে এবং তাদের ব্যবহৃত সিএনজি চালিত (গাজীপুর-থ-১১-৮৩৩২) অটোরিক্সাটি ভাংচুর করে।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলার খিরাটি এলাকার আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী তারেকের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে মাদকসহ ৪টি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত সে পলাতক থেকে ওই এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে। পালিয়ে যাওয়া ওই মাদক ব্যাবসাযীকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে।