সাইফুর নিশাদ ,মনোহরদী (নরসিংদী)
হতদরিদ্র মানুষগুলোর কষ্টের কথা আমরা কেউ কি জানি? যারা দিন এনে দিন খায়, একদিন কাজ না পেলে যাদের চুলায় আগুন জ্বলেনা, যাদের সংসার প্রতিদিনের আয় উর্পাজনের উপর নির্ভরশীল। সেই মানুষগুলোর কথা আজকাল আর কেউ ভাবেনা। এদের কেউ কেউ ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার খরচ যোগাতে এই গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহ ও কনকনে শীতের মধ্যে ভোর বেলায় বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়েন কাজের সন্ধানে আবার অনেকেরই দিন শেষে বাজার না নিয়ে বাড়ি গেলে সংসারের সবাইকে নিয়ে উপোষ থাকতে হয়। এমনই ভাবে জীবন যুদ্ধে মাথার ঘাম ঝরান খেটে খাওয়া এই হতদরিদ্র মানুষগুলো।
মনোহরদী উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের মনতলা গ্রামের মাঠ পর্যায়ে প্রত্যক্ষন করার সময় শ্রমিক রুবেল হোসেন জানান, বর্তমানে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করে কামলা (দিনমজুর) দিতে হয়। কাজ করতে হচ্ছে নিজের খেয়ে। এ আয়ে সংসারে কোনরকম দুমুঠো ভাত জুটে কিন্তু শিক্ষা,চিকিৎসা ও বিনোদন তাদের কাছে দুঃস্বপ্ন।
উপজেলার মনতলা গ্রামের শ্রমিক শামীম হোসেন (২৯ )জানান, অভাবের সংসার, টাকা পয়সা না থাকার কারণে ছোট ভাই বোনদের লেখাপড়া করাতে পারতেছি না। আমিও লেখাপড়া করতাম, সংসারে অভাব অনটনের কারণে স্কুল ছেড়ে কাজে এসেছি। যতদিন পারি এভাবেই সংসারের জোয়াল টেনে যাবো। একই গ্রামের আতাবুর রহমান (৪৫) মিয়া জানান, এতো গরমের মধ্যে সকাল থাইকা বিকালবেলা পর্ষন্ত কাম(কাজ) কইরা ৫/৬শো টেহায় এহন আর চলেনা। সব জিনিসের দাম বাড়তি, আমাগোর দাম তো আর বাড়তাছেনা। তার মধ্যে একদিন কাম পাইলে তিনদিন বইয়া থাহন লাগে। খাইয়া না খাইয়া খুবই কষ্টের মধ্যে দিন কাটতাছে।