স্টাফ রিপোর্টার ॥
বাংলাদেশ পাওয়ার ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডকে (বিপিইএমসি) মিটারের সঙ্গে অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্র তৈরিতে জোর দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিপিইএমসির স্মার্ট প্রিপেইড মিটার উৎপাদন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন এই কোম্পানি (বিপিইএমসি) অনুমোদন দেন তখন তিনি একটি নির্দেশনা দেন এটা কেবল মিটার বানাবে না, এটা যে কোনো ধরনের ইলেকট্রিক্যাল ইক্যুইপমেন্টসহ সব কাজ যাতে করতে পারে সেই রকম একটি নাম ঠিক করা উচিত। এজন্য বাংলাদেশ পাওয়ার ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচার এই নামটি দেয়া হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দুটি ফ্যাক্টরি করেছি বিদ্যুৎ বিভাগের দুটি কোম্পানির সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চার করে। এই কারণে করা হয়েছে, যাতে কোয়ালিটি নিশ্চিত করা হয়। মার্কেটে অনেক মিটার চলে আসছে। এমনকি আমরা পলিসি নিয়েছি, ওপেন করে দিয়েছি মিটারকে বাজারজাত করার জন্য। কেউ যদি বাইরে শো রুম করে মিটার বিক্রি করে, সেখান থেকেও যাতে ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিগুলো লাগাতে পারে দ্রুততার সাথে। কোনো গ্রাহক যদি মার্কেট থেকে মিটার কেনে সেটার বিষয়েও আমরা নীতিমালা করে অনুমোদন করে দিয়েছি।’
‘একটা কম্পিটিশন যেন থাকে, প্রাইভেট এবং সরকার যে ফ্যাক্টরিগুলো করেছে সেগুলোর সাথে। এতে দুটি জিনিস নিশ্চিত হবে একটা কোয়ালিটি আরেকটা প্রাইস। কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে হবে, এটার সঙ্গে কোনো কম্প্রোমাইজ চলবে না।’
বিপিইএমসির উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথম আপনারা অ্যাসেম্বলি প্ল্যান্ট করেন, ধীরে ধীরে ফ্যাক্টরিতে রূপান্তর করতে হবে।’
থাইল্যান্ড প্রথম গাড়ি অ্যাসেম্বল শুরু করে, এখন তার গাড়ি তৈরি করছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘একইভাবে প্রথম প্রথম দিকে আপনারা অ্যাসেম্বল করছেন, বাইরে থেকে এনে এখানে সংযোজন করছেন। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে একটা সময় আপনাদের ম্যানুফ্যাকচারের দিকে যেতে হবে।’
মিটার প্রস্তুতের সঙ্গে অন্যান্য ইলেকট্রিক বা ইলেকট্রনিক্স গেজেট ও যন্ত্রপাতি প্রস্তুতের বিষয়েও বিপিইএমসিকে জোর দেয়ার নির্দেশ দেন নসরুল হামিদ।
রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (৫১ শতাংশ), সিনজেন স্টার ইন্সট্রুমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের মাধ্যমে গঠিত বিপিইএমসি সরকার নিয়ন্ত্রিত জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি প্রিপেইড মিটার অ্যাসেম্বলিং প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে মিটার প্রস্তুত করবে। বাংলাদেশে বিদ্যুতের গ্রাহক প্রায় ৪ কোটি। ২০২১ সালের মধ্যে ৬৬ লাখ ৫৬ হাজার ৩০টি স্মার্ট মিটার স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। গত নভেম্বর পর্যন্ত স্মার্ট ৩৭ লাখ মিটার স্থাপন করা হয়েছে।
গ্রাহক সেবা নির্বিঘ্ন করতে বিদ্যুৎ খাতে অটোমেশন দ্রুত করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্মার্ট মিটার গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন ও সাশ্রয়ী করবে। সহজে ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তি প্রচলন ও সংযোজন করা উচিত।’
বাংলাদেশ পাওয়ার ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিনের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন, রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর ও সিনজেন স্টারের মহা-ব্যবস্থাপক ফেলিক্স লাও অনলাইনে সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।