রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ , ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ , ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫

হোম > শীর্ষ খবর > অবৈধভাবে অস্ত্র ঠেকিয়ে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেছিল : প্রধানমন্ত্রী

অবৈধভাবে অস্ত্র ঠেকিয়ে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেছিল : প্রধানমন্ত্রী

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, লালমনিরহাটে যে ছিটমহল নিয়ে সমস্যা ছিল সেটার সমাধানে জাতির পিতা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিল, এরপর তার মৃত্যুর পর সমস্যাটি পুরোপুরি সমাধান সম্ভব হয়নি। বাবার মৃত্যুর পর অবৈধভাবে অস্ত্র ঠেকিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল জিয়াউর রহমান, এরপর ক্ষমতায় আসে এরশাদ সাহেব, এরপর খালেদা জিয়া এই তিন সরকারের কেউ কিন্তু ভারতের সাথে ছিটমহল সমস্যার সমাধান করতে সাহস পায়নি। আমরা ক্ষমতায় এসে ভারতের সাথে বসে বিষয়টি সমাধান করেছি।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টের পর ৬ বছর দেশে আসতে পারিনি। তখনকার যে সরকার জিয়াউর রহমান আমাকে আমার রেহানাকে দেশে আসতে দেয়নি।

রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় ধরলা নদীর ওপর নির্মিত দেশের উত্তরাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক সেতু ‘শেখ হাসিনা ধরলা সেতু’ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন, তার যে লক্ষ দেশকে উন্নয়ন করা সে লক্ষে আমি কাজ করছি। আমার রাজনীতি দেশের মানুষের জন্য। কারণ আমি তো বাবা-মা ভাই হারিয়েছি, আমার তো হারানোর কিছু নেই। জাতির পিতার যে স্বপ্ন ছিল দেশের প্রত্যেকটি গ্রামকে উন্নয়ন করা তা আমি জানি, এবং বড় মেয়ে হিসেবে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি কাজ করে যাচ্ছি।

‘আপনারা দেখবেন ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের দেশ হবে পৃথিবীর অন্যতম উন্নয়নশীল দেশ। ইনশাল্লাহ কেউ আটকাতে পারবে না।’

তিনি আরো বলেন, কুড়িগ্রাম আর রংপুকে সবসময় মংলা এলাকা বলা হতো। কুড়িগ্রামের চিলমারি থেকে যে কয়টি জায়গায় আমি গিয়েছি তার সাথে রংপুরের গঙ্গচরা ও নইহালি ইউনিয়ন থেকে শুরু করে যে বিভিন্ন জায়গায় আমি ঘুড়েছি সেখানে মানুষের চেহারা দেখেছি তাদের চামড়া তার হারের সাথে লাগানো। পেট পিঠ একসাথে বস্ত্রহীন, পেটে খাবার নেই। এমন অবস্থা ঐসব অঞ্চলের মানুষ। প্রতি বছর দুর্ভিক্ষ লেগেই থাকে। আমরা বিরোধী দলে থাকা অবস্থাতেও তাদের জন্য কাজ করেছি।

এসময় তিনি বলেন, এখানকার প্রথম ধরলা সেতুটিও আমি নির্মাণ করেছিলাম, কিছু কাজ বাকি থাকতে সরকার পরিবর্তন হয়। এরপর তারা ক্ষমতায় এসে বলেন যে কাজ কিছুই হয়নি। অথচ আমাদের কাজ একদম শেষ পর্যায়ে ছিল। কাজেই প্রথম ধরলা সেতুটি আমরাই নিমার্ণ করেছিলাম।

কুড়িগ্রাম এলজিইডির তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থ ও প্রযুক্তিতে এই গার্ডার সেতুটির নির্মিত হয়েছে। ১৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৫০ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি উত্তারাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক সেতু। এই সেতুটি উত্তর ধরলার তিনটি ইউনিয়নসহ কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। সেতুর সুবিধা পাবেন কমপক্ষে ২০ লাখ মানুষ। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর এই সেতুটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।