রবিবার , ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ , ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > অর্থের ব্যাপক লেনদেন হচ্ছে

অর্থের ব্যাপক লেনদেন হচ্ছে

শেয়ার করুন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গুঞ্জন ছিল সাবের হোসেন চৌধুরী বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন! বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেয়ায় এ রকম আভাসটা আরও জোরদার হয়। গতকাল তার বাসায় সংবাদ সম্মেলন ডাকলে মনে হচ্ছিল এমন ঘোষণা দিতে পারেন তিনি।
তবে এ গুঞ্জনকে উড়িয়ে দিয়ে সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী নির্বাচনে অনড় থাকার ঘোষণা দেন। সঙ্গে অভিযোগ করেন নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হচ্ছে না বলে। প্রধানমন্ত্রীর চাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তিনি আমাদের কারও পক্ষে অবস্থান নেননি। তিনি বলেছেন, যেন বিসিবিতে আমরা একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারি।’
তার পরিবাগস্থ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, বিসিবি’র নির্বাচনে ব্যাপক অর্থের লেনদেন হচ্ছে। বিশেষ করে ক্লাবগুলোর কাউন্সিলরদের দলে টানতে ক্লাবগুলোর টাকা আর ক্ষমতার প্রভাব খাটানো হচ্ছে। কাউন্সিলরদের চিঠি এখনও দিতে না পারাকে ব্যর্থতা আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘আসলে কবে যাচ্ছে জেলা, বিভাগ, ক্লাব ও সংস্থারগুলোর কাছে কাউন্সিলর চেয়ে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি তা অজানা। তিনি (নাজমুল হাসান পাপন) বলেছিলেন গত মাসের ১২ তারিখের কথা। কিন্তু কয়েক বার নতুন তারিখ দিলেও আজ পর্যন্ত দেখছি না।’
প্রথমেই একটা আশঙ্কার কথা বলেছিলাম, তাহল একটি ছক অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন করার চেষ্টা চলছে। তবে যারা এই পরিকল্পনা করছেন তারা নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না তাই বারবার কাউন্সিলরদের চিঠি দেয়ার বিষয়টি পিছিয়ে দিচ্ছে।’
এছাড়াও ক্লাবগুলোকে টাকা দিয়ে প্রভাবিত করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কাউন্সিলরদের বিষয়ে আমরা এত দিন দেখে আসছি স্ব স্ব সংস্থা তাদের নিজস্ব প্যাডে তাদের কাউন্সিলরদের নাম পাঠিয়ে থাকে। বিশেষ করে জেলা ও বিভাগগুলো এনএসসির করে দেয়া গঠনতন্ত্র অনুসারে মিটিং করে, রেজুলেশন করে, সেই নাম প্রস্তাব করে থাকে। এটাই নিয়ম। কিন্তু এখানে একটা তথ্য এসেছে যে, বিসিবি’র নতুন এতটি ফরমেটে এই কাউন্সিলর চাওয়া হচ্ছে। টাকার লেনদেন হোক, আর প্রভাব খাটিয়ে হোক এরই মধ্যে কয়েকটি ক্লাবকে সেই নতুন ফরমেটে স্বাক্ষর করিয়েছে তারা। আমার তথ্য যদি সত্য হয় আর এমনটা যদি তারা করে থাকেন তাহলে বড় ধরনের অনিয়ম হচ্ছে।’
তবে এই সমস্যা সমাধানেরও পথও বাতলে দেন সাবের হোসেন- বলেন, ‘এখানে জেলাগুলো বা ক্লাবগুলো যে কাউন্সিল পাঠাবে তারা যেন তাদের নিজস্ব প্যাডেই দেয়। আর সঙ্গে তাদের মিটিংয়ের রেজুলেশনও দিতে হবে। আর এই সব মেনেই যদি তারা কাউন্সিল মনোনীত করেন তাহলে ধরে নেব আমাদের আশঙ্কাটা মিথ্যা ছিল।’ সাবের হোসেন চৌধুরী নির্বাচনকে স্বচ্ছ করতে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন নিয়োগের জোরালো দাবি করেন। অন্যদিকে বিসিবি’র এই নির্বাচনে তিনি অংশ নেয়ার ঘোষণা দিলেও নির্বাচনটা এখনই হোক তা তিনি চাচ্ছেন না। এই বিষয়ে তিনি যুক্তি দেখিয়ে বলেন, ‘বিসিবি’র গঠনতন্ত্র নিয়ে হাইকোর্টে যে রিট ছিল তাহলো এই গঠনতন্ত্র পরিমার্জনের এখতিয়ার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) রাখে কিনা। আর সুপ্রিমকোট সর্বশেষ যে রায় দিয়েছে সেখানে এটর্নি জেনারেল স্পষ্ট করে বলেছেন- যদি এই এখতিয়ার এনএসসি’র না থাকে তাহলে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা বাতিল হবে। সেই সঙ্গে বোর্ডও ভেঙে যাবে। তাই আমার মনে হয় আশঙ্কা নিয়ে নির্বাচন করা সঠিক হচ্ছে না। যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে রায় হয় যে এনএসসি’র এখতিয়ার ছিল না তখন কি হবে?’ এছাড়াও সুপ্রিম কোট থেকে নির্বাচন চেয়ে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের রায় আনার এক মাস পর হয়ে গেলে এখনও বিসিবি’র নির্বাচন করতে না পারার জন্য নাজমুল হাসান পাপনের কড়া সমালোচনা করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘তারা বাংলাদেশ থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলে যাবে বলে আর আইসিসি’র সদস্য পদ বাতিল হবে বলে জরুরি নির্বাচন করার রায় নিয়ে আসল। এখন তারা কেন নির্বাচন করতে পারছে না?’
তবে আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর তিনি নির্বাচন চান না কি এখনই নির্বাচন করতে চান সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি দু’টিরই পক্ষেই আছি। কারণ, আমি যে কোন পরিস্থিতিতে নির্বাচন করতে চাই। যা তিনি (নাজমুল হাসান) চান না।’