রবিবার , ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ , ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > জাতীয় > ‘আমি ব্যবসা করি না বুঝিও না, তবে সুযোগ করে দিতে পারি’

‘আমি ব্যবসা করি না বুঝিও না, তবে সুযোগ করে দিতে পারি’

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেছেন, আমি ব্যবসা করি না, ব্যবসা বুঝিও না। তবে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা যাতে সুন্দর পরিবেশে ব্যবসা করতে পারে এবং দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ঘটাতে পারে সরকার হিসেবে সে পরিবেশ আমরা সৃষ্টি করতে পারি। ব্যবসায়ীদের সুযোগ দিতে পারি। তা প্রমাণ করেছি।

রোববার রাজধানীর প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জাতীয় রফতানি ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট শফিউল মহিউদ্দিন ইসলাম।

অনুষ্ঠানে ৫৬টি প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রফতানি খাতে অনন্য অবদান রাখার কারণে তাদের এই পদক প্রদান করা হয়।

শিল্পায়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এজন্য দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছি। এসব শিল্পাঞ্চলে যেন বিদেশিরা বিনিয়োগ করতে পারে সে ব্যবস্থাও আমরা রেখেছি। এখানে বিনিয়োগ করলে বিদেশিরা লাভবান হবেন। কারণ আমাদের দেশে শ্রম সস্তা। পরিবেশও ভালো। বিনিয়োগের সুন্দর পরিবেশ আছে। বঙ্গবন্ধু সারাদেশে প্রতিটি জেলায় বিসিক শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলেছিলেন। এসব শিল্পাঞ্চলে যেন রফতানি পণ্য তৈরি হয়।’

যেকোনো শিল্পে উৎপাদিত পণ্য যেন দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে কম খরচে নেয়া যায়, সেজন্য নৌপথ বিস্তৃত করার প্রকল্প নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রেলপথ সচল করা হয়েছে। সড়ক পথও সচল করা হছ্ছে। দেশের পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে। অবশ্য আমাদের আগের সরকার কারও প্রেসক্রিপশনে রেলকে বন্ধ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেয়েছিলাম। আজ আমরা ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি। আগামী ৪১ সালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার পরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করেছি। শিল্প কলকারখানায় যাতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সমস্যা না হয়, সেভাবে আমরা পরিকল্পনা সাজিয়েছি। এর ফলে রফতানি বাণিজ্যের সুযোগ আরও বাড়বে।’

আওয়ামী সভাপতি বলেন, ‘আগে বাংলাদেশে মানুষ বিদেশে গেলে নানা লাঞ্ছনা-গঞ্জনা সহ্য করতে হতো। বাংলাদেশ নাম বললেই অনেকে ভাবতো-বন্য, খরা ও দুর্যোগের দেশ। বাংলাদেশ মানেই ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে এসেছে। এখন আর সে অবস্থা নেই। বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা এখন আইটি সেক্টরের উন্নয়ন নিয়ে ভাবছে।’

দেশের যুবসমাজের ভূয়সী প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার দেশের যুবকদের ট্রেনিং দিয়ে দক্ষ করে তুলতে পারলে সবচেয়ে দক্ষ শ্রমিক হতে পারে। আমাদের যুবরাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করে তা প্রমাণ করেছে।’