স্টাফ রিপোর্টার ॥
হাজী সেলিমপুত্র ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বহিষ্কৃত কাউন্সিলর ইরফান সেলিম এবং তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
বুধবার ১০টায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তাদের হাজির করা হয়। পরে তাদের আদালতের হাজতখানা রাখা হয়।
এই দুই আসামির গ্রেফতার ও রিমান্ড নিয়ে বেলা ১১টার পর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে শুনানি হবে। এরপর রিমান্ড নিয়ে অন্য আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
সেলিম ও জাহিদ ৭দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ। এ মর্মে মঙ্গলবার পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। এরপর ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর রিমান্ড ও গ্রেফতার বিষয়ে শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেছেন।
রোববার রাতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফকে মারধরের ঘটনায় ধানমণ্ডি থানায় মামলা হয়। এর পর পুরান ঢাকায় হাজী সেলিমের বাসায় র্যাব অভিযান চালায়। এ সময় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার কারণে দিয়েছেন ছয় মাসের কারাদণ্ড। ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাস সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে ওই বাড়ি থেকে অস্ত্র, ইয়াবা, ৩৮টি ওয়াকিটকি ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত গত রোববার রাতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খান বই কিনে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। ধানমণ্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে পেছন থেকে তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের স্টিকারযুক্ত গাড়ি। ওয়াসিফ নিজের পরিচয় দিলেও গাড়ি থেকে নেমে একজন গালাগাল করে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান। এর পর গাড়িটি কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড সিগন্যালে দাঁড়ালে ওয়াসিফ মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে গিয়ে গাড়িটির জানালায় নক করেন। তখন গাড়ি থেকে লোকজন নেমে ওয়াসিফকে মারধর করে রক্তাক্ত করেন। তাদের বিরুদ্ধে পর দিন সকালে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন ওয়াসিফ।