বৃহস্পতিবার , ১৬ই মে, ২০২৪ , ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ , ৭ই জিলকদ, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঢাকা : আজ ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দান) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাঙালি জাতির উদ্দেশে তার ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। উত্তাল একাত্তরে শেখ মুজিবের ভাষণে সেদিন পুনজাগ্রত হয়েছিল গোটা জাতি। সংকল্পে মুষ্টিবদ্ধ হয়েছিল অত্যাচারী হানাদারদের বিরুদ্ধে।

বঙ্গবন্ধুর দেয়া দীর্ঘ ভাষণে তিনি পূর্ব বাঙলার মানুষের ওপর যুগ যুগব্যাপী চলতে থাকা অত্যাচার-লাঞ্ছনা-বঞ্চনা আর উৎপীড়নের প্রতিবাদে স্বাধিকারের প্রশ্নে পাকিস্তানি শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দেশবাসীকে রুখে দাঁড়াবার প্রস্তুতির আহ্বান জানিয়েছিলেন।

১৯৪৭ সালের পর সুদীর্ঘ ২৩ বছরের শোষণের চূড়ান্ত পর্যায়ে বাঙালি জাতির জাতিসত্ত্বা, জাতীয়তাবোধ এবং জাতিরাষ্ট্র গঠনের যে ভিত রচিত হয় তারই পরবর্তী দিক-নির্দেশনা ছিলো জাতির জনকের সেদিনের ভাষণে। তিনি আত্মপরিচয়, স্বাধীনতা, অধিকার এবং মুক্তি অর্জনে যুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন। তার সেই বজ্রকণ্ঠের আহ্বান মুহূর্তে গণমানুষের মর্মে ছড়িয়ে পড়েছিল। তাবৎ বাংলায় উঠেছিলো যুদ্ধের রব।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাত্তর সালের এই দিনে জোয়ার জাগা লাখো মানুষের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছিলেন- “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম/ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”। তার দেয়া সেদিনের সেই বার্তাই জাতির চেতনায় নতুন এক উপলব্ধি নিয়ে এসেছিল। জাতিকে করেছিল সংগ্রামী চেতনায় উজ্জীবিত।

৭ই মার্চ দিনটি বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক আত্মোপলব্দির অঙ্গীকারের দিন। বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণের দিনটি প্রতিবছর যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালি জাতির স্বাধীনতার দলিল উল্লেখ করে বলেন, ‘১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে বজ্রকণ্ঠে যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, তার মধ্যে নিহিত ছিল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের ডাক।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘বাঙালির বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতার এ ভাষণের দিকনির্দেশনাই ছিল সে সময় বজ্র কঠিন জাতীয় ঐক্যের মূলমন্ত্র। অসীম ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অমিত শক্তির উত্স ছিল এ ঐতিহাসিক ভাষণ। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের আবেদন আজো অটুট আছে।’

দিনটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে— আজ সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। বেলা ৩টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ৭ মার্চের ভাষণের স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে জনসভা।