মঙ্গলবার , ১৪ই মে, ২০২৪ , ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ , ৫ই জিলকদ, ১৪৪৫

হোম > জাতীয় > কর্ণফুলীর ভাঙনে রাউজানে ভিটে মাটি হারাচ্ছে শত শত পরিবার

কর্ণফুলীর ভাঙনে রাউজানে ভিটে মাটি হারাচ্ছে শত শত পরিবার

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
রাউজান (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার পাশ দিয়ে প্রবাহিত কর্ণফুলী নদীর ভাঙ্গন আতংকে রয়েছে বাগোয়ন, পাহাড়তলী ও নোয়াপাড়া গ্রামের কয়েক’শ পরিবার। ভাঙ্গন কবলিত এলাকার জনসাধারণ জানিয়েছে গত কয়েক বছরে বহু পরিবার নদীর ভাঙ্গনে পড়ে ভিটে মাটি হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। নদী ভাঙ্গা পরিবার সমূহের অনেকেই বিভিন্নস্থানে এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। এখনও ভিটা মাটি হারানোর শঙ্কার মধ্যে রয়েছে আরো কয়েক’শ পরিবার। প্রতি বছরের ভাঙ্গনে পড়ে ছোট হয়ে আসছে রাউজানের মানচিত্র।

কর্ণফুলী নদীর রাউজান অংশের ভাঙন এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা গেছে, নোয়াপাড়ার ইউনিয়নের ঝিকুটি পাড়া, উভলং, চৌধুরীঘাটকুল, বাগোয়ান ইউনিয়নের পাঁচখাইন দরগাহ এলাকা, লাম্বুরহাট, খেলাঘাট, পাহাড়তলী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী কয়েকটি পাড়ার কয়েক’শ পরিবার এখন ভাঙন আতংকে দিন পার করছে। দেখা গেছে, এখানে কারো কারো বসত ঘরের অংশ বিশেষ নদীর ভিতর ভেঙে পড়ে ঝুলে আছে। অবশিষ্ট অংশটুকু নদীতে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষের ভিটামাটি রক্ষায় গত দুই দশকে নদীর ভাঙন কবলিত কয়েকটি স্থানে পাথর ব্লক দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।

গত বছর খেলার ঘাট এলাকা (কোয়েপাড়া) রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোডের প্রকল্পে দেয়া হয়েছে পাথর ব্লক। স্থানীয়দের মতে পাথর ব্লক দেয়ার কারণে এলাকার মানুষ এক দেড় দশক নিরাপদ থাকতে পারে। এরপর পাথর ব্লক নদীর তলদেশে তলিয়ে যেতে শুরু করে। স্থানীয়দের এমন অভিযোগের সত্যতা মিলেছে বিভিন্ন পয়ন্টে আগে দেয়া পাথর ব্লক দেখে। এমন দৃশ্য দেখা যায় দরগাহ ঘাট এলাকায়। এখানে একটি ব্লক অন্যটি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে।

বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন কর্ণফুলী ভাঙন রোদে রাউজানের সাংসদ গুরুত্ব দিয়ে ভাঙন কবলিত এলাকায় পানি উন্নয়ন বোডের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে পাথর ব্লক দিয়েছেন, এখানো নদীর তীরবর্তী অনেক পরিবার নদী ভাঙন হুমকির মধ্যে রেখেছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন যেসব এলাকায় পাথর ব্লক দেয়া হয়েছে সেসব এলাকার মানুষ কয়েক বছর নিরাপদে থাকলেও এখন ওসব পাথর ব্লক নদীতে তলিয়ে যেতে দেখে এলাকার মানুষের মাঝে আবারও ভিটে মাটি হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অপরদিকে যেসব এলাকায় ব্লক দেয়া হয়নি সেসব এলাকার ভাঙ্গন চলমান রয়েছে। প্রশাসন এব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ না নিলে এলাকার অনেক মানুষ ভাঙনে ভিটে মাটি হারাবে, দিনে দিনে ছোট হয়ে পড়বে রাউজান উপজেলার মানচিত্র।

 

আমাদের সময়.কম