সোমবার , ১৩ই মে, ২০২৪ , ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ , ৪ঠা জিলকদ, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > গবেষকদের চাকরির বয়স ৬৭ হচ্ছে

গবেষকদের চাকরির বয়স ৬৭ হচ্ছে

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
ঢাকা: বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) গবেষক ও বিজ্ঞানীদের অবসরের বয়স সীমা ৮ বছর বৃদ্ধি করে ‘বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ আইন ২০১৩’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী বিসিএসআইআর-এর গবেষকদের অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর। এটা বৃদ্ধি করে ৬৭ বছর করার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭৮ সালে এক অধ্যাদেশের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটিকে আরো গতিশীল করতে ওই অধ্যাদেশ সংশোধন করে একে একটি আইনি কাঠামো দেয়া হচ্ছে। এতে আইনটি বাংলায় রূপান্তরের পাশাপাশি বেশ কিছু বিষয়ের নতুন সংজ্ঞাও সংযোজন করা হয়েছে।’

সচিব বলেন, ‘এখানে নয় জনের একটি বোর্ড রয়েছে। যে বোর্ড আগে বছরে একবার বৈঠক করতো। সংশোনের ফলে তাদের বছরে দুই বার বৈঠক করতে হবে।’

অন্য গবেষকদের ক্ষেত্রে কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য মন্ত্রণালয় এ ধরনের প্রস্তাব নিয়ে এলে তা মন্ত্রিসভা বিবেচনা করবে। এ আইনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ এবং গবেষকদের খুঁজে বের করার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ফেলোশিপ, উদ্ভাবনী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও বিষয় ভিত্তিক প্রকল্প নেয়ার সুযোগ করে দেয়ার কথা বলা হয়েছে।’

গত মে মাসে এ আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদনের সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছিলেন, শিক্ষা, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ, শিল্প এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়কেও বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে সম্পৃক্ত করা হবে।’

এছাড়া, মন্ত্রিসভায় সব পরিবহন সেক্টরের উন্নয়নে ‘জাতীয় সমন্বিত বহুমাধ্যম ভিত্তিক পরিবহন নীতিমালা-২০১৩’-এর খসড়া এবং ‘বাংলাদেশ তাঁতবোর্ড আইন ২০১৩’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

পরিবহন নীতিমালার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এ নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য দুটি কমিটি করা হবে। একটি মন্ত্রিসভা কমিটি এবং অন্যটি জাতীয় বহুমাধ্যম সমন্বয় কমিটি। তবে কমিটি গঠনের বিষয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরবর্তী সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’

তিনি বলেন, ‘এ নীতিমালার আলোকে সড়ক, রেলপথ, আকাশ এবং নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীদের সমন্বিতভাবে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা ও সংরক্ষণ, ব্যয় সাশ্রয়ীকরা, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পরিবেশ বান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থা, দুর্ঘটনা কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় আইন তৈরি করা সহজ হবে।’

সচিব বলেন, ‘সড়ক পরিবহনের ওপর থেকে চাপ কমানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। পাশাপাশি সব পরিবহনে নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী, ভিআইপিদের জন্য আলাদা ব্যবস্থার সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার জন্যও সুযোগ রাখা হয়েছে।’

তাঁতবোর্ড আইন প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ‘১৯৭৭ সালে প্রণীত ‘তাঁত বোর্ড অধ্যাদেশ’ থেকে খুব একটা পরিবর্তন আনা হয়নি প্রস্তাবিত আইনে। শুধু তাঁতবোর্ডের সদস্যদের আগে প্রতিমাসে সভা করার বিষয়টি পরিবর্তন করে দুই মাসে একটি সভা করার বিধান রাখা হয়েছে। তবে প্রয়োজনে একাধিক সভাও ডাকা যাবে।’