রবিবার , ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ , ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > টেলিফোনে উত্তীর্ণদের অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী

টেলিফোনে উত্তীর্ণদের অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি যারা ভালো করতে পারেনি তাদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (৬ মে) লন্ডন থেকে প্রধানমন্ত্রী টেলিফোনে শিক্ষার্থীদের এই অভিনন্দন জানান।

এর আগে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ড. দিপু মনি ফল প্রকাশ উপলক্ষে লন্ডন থেকে প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পড়ে শোনান।

পরে শিক্ষামন্ত্রী টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংযুক্ত করেন। পরীক্ষায় যারা কৃতকার্য হয়েছেন তাদের প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানান। আর যারা ভালো করতে পারেনি তাদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাণীতে শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘প্রতি বছর আমি সশরীরে উপস্থিত থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করি এবং তোমাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করি। এ বছর আমি লন্ডনে সফরে থাকার কারণে এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলাম। এজন্য আমি তোমাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’আজ ২০১৯ সালের এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে আমি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক এবং শিক্ষকমণ্ডলীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। যেসব শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারোনি, আমি তোমাদের ধৈর্য ধরে, মনোযোগসহকারে আবার প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। যাতে আগামীতে ভালোভাবে উত্তীর্ণ হতে পারো। মানুষের অসাধ্য কিছুই নেই।’

একাগ্রতা, অধ্যবসায় এবং পরিশ্রম- যেকোনো অসাধ্যকে সাধন সহায়তা করতে পারে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তোমরা যারা যেকোনো কারণেই হোক উত্তীর্ণ হতে পারোনি হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এখন থেকে চেষ্টা করলে ভবিষ্যতে নিশ্চয় তোমরা এ বাধা অতিক্রম করে ভালো ফল অর্জন করতে পারবে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এ বছর রেকর্ড… ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৯ শিক্ষার্থী এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছিল। যেসব শিক্ষার্থী ভালো ফল করেছ, তোমাদের এই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ভবিষ্যতে আরও ভালো ফল করতে হবে। মনে রাখবে, তোমরাই আগামী বাংলাদেশের কর্ণধার। তোমাদেরই এ দেশের জনগণ ও বিশ্ববাসীর সেবায় নিয়োজিত হতে হবে। এজন্য জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আয়ত্তে পাশাপাশি দেশপ্রেমিক ও মানবিকতায় পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে হবে।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মনে রাখবে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি আনয়নের মাধ্যমে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ার। আমরা জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আগামী প্রজন্মকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী করে গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

‘প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমরা তোমাদের মেধা-মননের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে এবং আগামীতে দেশ পরিচালনার জন্য নিজেদের যোগ্য করে প্রস্তুত করবে- এ প্রত্যাশা করছি’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রথা অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেয়া হতো। এরপর শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত জানাতেন। কিন্তু এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডন সফরে থাকায় তা সম্ভব হলো না।

এ বছর মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, যাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন।

গতবছর এ পরীক্ষায় ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল, যাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন। সেই হিসাবে এবার পাসের হার বেড়েছে দশমিক ৪ শতাংশ ৪৩।