সোমবার , ১৩ই মে, ২০২৪ , ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ , ৪ঠা জিলকদ, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > নদী রক্ষাই বর্তমান সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ

নদী রক্ষাই বর্তমান সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
দেশের নদীগুলোকে রক্ষা করাই বর্তমান সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের চ্যালেঞ্জ ছিল বিদ্যুতের উন্নয়ন। আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে সফল হয়েছি। এবার আওয়ামী লীগ সরকারের চ্যালেঞ্জ হলো নদীকে রক্ষা করা।

বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘নদীর পানি ও পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন এ কর্মশালার আয়োজন করে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা নদীকে ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছেন। সে গুরুত্ব অনুধাবন করে নদীকে রক্ষায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন যেসব পদক্ষেপ নিবে, সেগুলো বাস্তবায়নে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করবে। বিদ্যুতের মতো প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের নদীগুলোকে রক্ষা করে নৌপথে সুদিন ফিরিয়ে আনতেও আমরা সফল হব।

তিনি বলেন, নদী রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। নদী রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদী উদ্ধারে অনেক বাধা এসেছে। এক্ষেত্রে আমরা কোনো ধরনের শিথিলতা প্রদর্শন করিনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় নদী উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছি।

খালিদ মাহমুদ বলেন, দেশে ভাল কাজ করার জন্য এখন এক সুবর্ণ সময়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীন দেশ ও নিজস্ব সত্ত্বার পরিচয় দিয়ে গেছেন। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে এবং তারই নেতৃত্বে আমরা উন্নত দেশে পরিণত হবো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ছয় মাসে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীতে উচ্ছেদ অভিযানের সময় দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ নদী রক্ষায় এগিয়ে এসেছে। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকলেও নদী রক্ষায় আন্তরিকতার কোনো কমতি নেই। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ছিল না। এখন সাংবিধানিক ধারা ফিরে এসেছে। উন্নয়নের ফল সবাই ভোগ করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার ক্ষমতায় আছে বলে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পানি দূষণমুক্ত অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তুপ থেকে মাত্র সাড়ে তিন বছরে প্রবৃদ্ধির হার সাত শতাংশে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। দেশের উন্নয়নে বাস্তব ভীত গড়ে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নদীর গতির মতো দেশের গতিও পরিবর্তন করা হয়েছিল।

কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নৌ-পরিবহন সচিব মো. আবদুস সামাদ, শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম, পি কে এস এফ-এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রোখসানা কাদের, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য শারমিন সোনিয়া মুরশিদ ও মো. আলাউদ্দিন।