রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ , ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ , ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হাইকোর্ট

নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হাইকোর্ট

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায় মঙ্গলবার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের যৌথ বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।

এ রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকাজুড়ে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে পুলিশ। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। ট্রাইব্যুনালকে মূল কেন্দ্র ধরে আশপাশের এলাকাসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ-র্যাব এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে নিরাপত্তাবলয়।

এছাড়া সকাল থেকেই মূল প্রবেশপথে অবস্থান করেছে র্যাব ও পুলিশের ‘সোয়াট ইউনিট’-এর সদস্যরা। সোমবার রাত থেকেই হাইকোর্টের আশপাশের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়। পাশাপাশি বসানো হয় চেকপোস্ট। আদালত চত্বরের প্রতিটি পয়েন্টে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।

এদিকে নিরাপত্তার অংশ হিসেবে প্রেসকাব কদম ফোয়ারা সড়ক, শিা ভবন সড়ক, দোয়েল চত্বরসংলগ্ন সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। এসব সড়ক দিয়ে পথচারী ছাড়া কোনো ধরনের যান চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাউকে সন্দেহ হলে তার পরিচয়পত্র দেখছেন। এছাড়াও সন্দেহভাজনদের ব্যাগ তল্লাশি করা হচ্ছে।

রায় ঘোষণাকে সামনে রেখে হাইকোর্ট এলাকাসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও সড়কেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। তারা বলছেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি তাদের রয়েছে।

মহানগর পুলিশের রমনা জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) শেখ মারুফ হাসান জানান, সাকা চৌধুরীর রায়কে কেন্দ্র করে সোমবার রাত থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আদালত পাড়ায় যানবাহন ও জনসাধারনের প্রবেশাধিকার সীমিত করতে দোয়েল চত্বর এবং ট্রাইব্যুনালে প্রবেশ পথে পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়েছে। সকাল থেকেই এ এলাকায় যারা চলাচল করছে, তাদের কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চাইছে পুলিশ। সন্দেহজনক কাউকে আদালত এলাকায় ঢুকতে দেয়া হবে না, বলেন উপকমিশনার।

তিনি জানান, ট্রাইব্যুনালকে মূল ভবনকে কেন্দ্র ধরে এর ভেতরে ও বাইরে এবং চারদিকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে তাদের।

তিনি বলেন, “মঙ্গলবার সকাল থেকে মূল গেটের সামনে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার নিরাপত্তাকর্মীরা সার্বণিক পর্যবেণ করছেন। পুরো এলাকায় পুলিশের বোমা নিস্ক্রিয়করণ ইউনিট কাজ করছে। এছাড়া মূল পয়েন্টগুলোতে পর্যাপ্ত কোজসার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ”

হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট, দেশান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে ২৩টি অভিযোগ রয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে। বিএনপির কোনো নেতার বিরুদ্ধে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় হতে যাচ্ছে। এর আগে জামায়াতের আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার, কাদের মোল্লা, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, কামারুজ্জামান, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম অযমের বিরুদ্ধে মামলার রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।