সোমবার , ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > জাতীয় > নিরাপদ সমুদ্র অঞ্চল গড়ে তুলতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

নিরাপদ সমুদ্র অঞ্চল গড়ে তুলতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

শেয়ার করুন

বিশেষ সংবাদদাতা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা একটি নিরাপদ সমুদ্র অঞ্চল গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। সমুদ্রের তলদেশের সম্পদ আহরণ করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে চাই।
বুধবার সকালে ১৪তম হেডস অব এশিয়ান কোস্ট গার্ড এজেন্সিস মিটিং (এইচএসিজিএএম)-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় সমুদ্রে নিরাপত্তা আরও কিভাবে জোরদার করা যায় সে বিষয়ে সঠিক পš’া উদ্ভাবন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ সমুদপথে হয়। কিš‘ দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের সামুদ্রিক এলাকায় মাদকদ্রব্য পাচার, মানবপাচার, জলদস্যুতা, ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ সংগঠিত হয়। এসব অপরাধে শুধু দেশীয় নয়, পাশ্ববর্তী দেশের অপরাধীরাও জড়িত থাকে।
তিনি বলেন, অপরাধীরা অনেক সময় আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে থাকে। সে কারণে একক দেশ হিসেবে কারো পক্ষেই এটা দমন করা সম্ভব না। যদি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা হয় তাহলে এটা দমন করা সম্ভব। এটা অবশ্যই অপরিহার্য।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, এইচএসিজিএএম-এর মত একটি সংগঠনই পারে আমাদের সকলের অভিজ্ঞতা ও তথ্য উপাত্ত কাজে লাগিয়ে দলগতভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে এসব সামদ্রিক অপতৎপরতা রোধ করে একটি নিরাপদ সমুদ্র সীমা উপহার দিতে। এতে সদস্য রাষ্ট্রগুলো লাভবান হবে।
তিনি বলেন, বিগত এক দশকে আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। এই এক দশকে আমরা গড় প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ অর্জন করেছি। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আমরা ৭ দশমিক ৮৬ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ ছিলাম, এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গ্রাজুয়েশন পেয়েছি। বাংলাদেশকে আরও উন্নত করবার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যা”িছ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, সমগ্র দেশ জুড়ে রয়েছে বিশাল বিশাল নদী ও জলাভূমি। নদীমাতৃক সম্পদকে কাজে লাগানো এবং দেশকে আরও উন্নত করার পরিকল্পনা নিয়ে ডেল্টা প্লান-২১০০ নামে একটি দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এ পরিকল্পনা নেদারল্যান্ডের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতায় প্রণয়ন করেছি এবং চুক্তি স্বাক্ষর করেছি বাস্তবায়নের জন্য। এর উদ্দেশ্যে হ”েছ মধ্য এবং দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনাগুলোকে সমন্বয় করে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উ”চ মধ্যম আয়ের এবং ৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।
তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে বিরোধী দলে থাকতে আমরা একটি বিল উত্থাপন করেছিলাম। সাধারণত বিরোধী দলের বিল সংসদে পাস হয় না। কিš‘ আমরা সৌভাগ্যবান, আমাদের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে আর যেহেতু সরকারি দলের সদস্যরা সংসদে অনুপ¯ি’ত ছিল আমরা বিরোধীদলের সদস্য বেশি ছিলাম সে কারণে ডিভিশন ভোটের দাবি করে সেই বিল পাস করতে সক্ষম হই। কাজেই বিরোধীদলের পক্ষ থেকে ৯৪ সালে বিলটি আমরা উত্থাপন করি এবং ৯৫ সালে কোস্টগার্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। এটা কিš‘ বিরোধী দলে থেকে পাস করা একটি আইন। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার নিরাপত্তা বিধান করে থাকে।