রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ , ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ , ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > নুহাশ পল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন

নুহাশ পল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৬৫তম জন্মদিন নন্দন কানন নুহাশ পল্লীতে বর্ণিল আয়োজনে পালিত হয়েছে। হুমায়ূন ভক্ত ফেসবুক গ্রুপ, হিমু পরিবহন ও নুহাশ পল্লীতে কর্মরতরা কেক কেটে ও নানা আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে জন্মদিন পালন করে। তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও প্রার্থনার মাধ্যমে হুমায়ূনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। গাজীপুরের পিরুজ আলী গ্রামের নুহাশ পল্লীতে নন্দিত কথা সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের ৬৫তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। হুমায়ূন ভক্ত ফেসবুক গ্রুপ হিমু পরিবহনের সদস্যরা হলুদ পাঞ্জাবিতে হিমু ও নীল শাড়িতে রূপা সেজে নুহাশ পল্লীতে যান। মঙ্গলবার রাত ১২টা এক মিনিটে হুমায়ূন আহমেদের সমাধি প্রাঙ্গণে কেক কেটে জন্মদিন উৎসবের সূচনা করেন। এর পরপরই অপর একটি জন্মদিনের কেক কাটেন নুহাশ পল্লীর স্টাফরা। পরে সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সমাধি প্রাঙ্গণে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। এ সময় হুমায়ূনের আত্মার শান্তি কামনা করে নুহাশ পল্লীর ইমামের নেতৃত্বে প্রার্থনায় অংশ নেন সবাই। হুমায়ূনের বিভিন্ন চলচ্চিত্রের গান পরিবেশনার মাধ্যমে হুমায়ূনকে স্মরণ করেন হিমু পরিবহনের সদস্যরা। কথা শিল্পী হুমায়ূনকে আজীবন স্মরণে রাখতে চান তার ভক্তরা। হুমায়ূন ভক্তরা বলছেন, তারা প্রতিবছরই তাদের প্রিয় স্যারের বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন পালন করতে প্রস্তুত থাকবেন। হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণের মাধ্যমে নুহাশ পল্লীর ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বুলবুল বলেন, দিনটি জন্মদিন, আনন্দের দিন। তবে তাদের কেউ আনন্দে নেই তাদের প্রিয় স্যারকে হারিয়ে। তবে হুমায়ূনের জন্মদিনে অনুষ্ঠানে হরতাল জনিত কারণে তার পরিবারের সদস্যরা কেউ উপস্থিত ছিলেন না। নন্দিত এ কথাসাহিত্যিক দুরারোগ্য ক্যান্সারে ২০১২ সালের ১৯শে জুলাই লাখ ভক্তকে ছেড়ে নিউ ইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন সকালে দুই ছেলে নিশাদ ও নিনিতকে নিয়ে নিজ বাসায় কেক কাটে জন্মদিন উদযাপন করেন। এ ছাড়া সারা দেশে হুমায়ূন ভক্তরা পালন করছে তার জন্মদিন। হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেন, এবার তার (হুমায়ূন আহমেদ) জন্মদিন একেবারেই ঘরোয়াভাবে পালন করা হচ্ছে। সত্তরের দশকে হুমায়ূন আহমেদ শঙ্খনীল কারাগারে উপন্যাসের মধ্য দিয়ে সাহিত্য জগতে পদার্পণ করেন। ১৯৭৩ সালে নন্দিত নরকে উপন্যাস রচনা করেন। প্রথম টেলিভিশন নাটক এইসব দিনরাত্রি, কোথাও কেউ নেই, বহুব্রীহি ও অসংখ্য আলোচিত সাহিত্যকর্ম রচনা করেছেন। তার অনবদ্য এসব সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের জন্য পেয়েছেন বাংলা একাডেমি, শিশু একাডেমী, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার। নন্দিত এ মানুষটি বাবার চাকরি সূত্রে পড়াশুনা করেছেন দেশের বিভিন্ন জায়গায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন রসায়ন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে। ১৯৭৩ সালে হুমায়ূন আহমেদ গুলতেকিনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এ দম্পতির ৩ কন্যা ও ২ পুত্র সন্তান রয়েছে। পরে ২০০৫ সালে গুলতেকিনের সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয় এবং মেহের আফরোজ শাওনের সঙ্গে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। নিশাদ ও নিনিত নামে ২ পুত্র সন্তান রয়েছে হুমায়ূন-শাওন দম্পতির। পারিবারিক জীবনে হুমায়ূন আহমেদের দুই ভাই ও তিন বোন রয়েছে। ছোট ভাই প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক জাফর ইকবাল আরেকজন কার্টুনিস্ট আহসান হাবিব। বাবা (মৃত) ফয়জুর রহমান ও মা আয়েশা ফয়জ।