মঙ্গলবার , ১৪ই মে, ২০২৪ , ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ , ৫ই জিলকদ, ১৪৪৫

হোম > জাতীয় > পুলিশের উপর হামলার মামলায় মিলনকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর

পুলিশের উপর হামলার মামলায় মিলনকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
রাজধানীর পল্টন থানার পুলিশকে ইট পাটকেল নিক্ষেপের একটি মামলায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার মিলনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় পল্টন থানা এলাকায় পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন ঐ থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা আরশাদ হোসেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

পল্টন থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দিন বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মিলন ও বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকা শহর ও পল্টন এলাকায় নাশকতা করার উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়ে হোটেল ভিক্টরীর সামনে ভিআইপি রোডে বেরিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। প্রশাসনের কোনো প্রকার অনুমোদন না নিয়ে হঠাৎ অবৈধ জনতাবদ্ধ কালো পলাকা হাতে নিয়ে মিছিল বের করে বিভিন্ন প্রকার সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে।

আসামিদের পুলিশ (মামলার বাদী) প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার জন্য এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার অনুরোধ করলে তারা পুলিশের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। যাতে অনেক পুলিশ সদস্য সাধারণ ও গুরুতর জখম হয়। মামলার ঘটনার পর থেকে মিলন পলাতক আছেন। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মিলনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো খুবই প্রয়োজন।

এর আগে ১৩ ডিসেম্বর দুপুরে গ্রামের বাড়ি কালীগঞ্জের বর্তুল থেকে মিলনকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
পরের দিন তাকে তিন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে রমনা ও পল্টন থানার নাশকতার দুই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা আগেই জারি ছিল।

রমনা থানার আরেক মামলায় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপরদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহীদুল হক তার জামিন ও রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।