মঙ্গলবার , ১৪ই মে, ২০২৪ , ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ , ৫ই জিলকদ, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > প্রতিশোধ এবং গোল বন্যায় ভাসিয়ে দিল স্পেনকে

প্রতিশোধ এবং গোল বন্যায় ভাসিয়ে দিল স্পেনকে

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥ ‘দ্য ফ্লাইং ডাচম্যান’। হ্যাঁ, আক্ষরিক অর্থেই উড়ন্ত নেদারল্যান্ডস। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনকে নিয়ে রীতিমতো ছেলে খেলা খেলল ডাচরা। শুক্রবার সালভাদর অ্যারেনায় ঝড় তুললো আরিয়েন রোবেন ও রবিন ভন পার্সিরা। সেই কমলা ঝড়ে ভেঙেচুরে একেবারে নিঃশেষ হয়ে গেল স্প্যানিশ আর্মাডা। লজ্জায় প্রবলভাবে ডুবে গেল লা রোজারা। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলতে নেমে হারলো ৫-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে।

প্রতিশোধ, প্রতিশোধ ও প্রতিশোধ। স্পেন-নেদারল্যান্ডস ম্যাচের আগে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত শব্দ এটি। শেষ পর্যন্ত এই শব্দটিকেই অপ্তবাক্য হিসেবে নিয়েছিল ডাচরা। আর ভয়ংকর সেই নেশায় মেতে মাঠে স্পেনকে ছন্নছাড়া বানিয়েই ছাড়লো আরিয়েন রোবেন, ওয়েসলি স্নেইজার ও রবিন ভন পার্সিরা। অথচ কী বিপরীত চিত্রনাট্যে মাঠে গড়িয়েছিল এই দ্বৈরথ? এই ম্যাচের আগে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচেই জয় নিয়ে মাঠে নেমেছিল স্পেন। আর বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে অনুজ্জল নেদারল্যান্ডস নেমেছিল বিবর্ণ ও ফ্যকাশে ফুটবল উপহার দেয়ার পর। কিন্তু মাঠের খেলায় পরিসংখ্যান যে স্রেফ একটা ‘আউটসাইডার’ তা দেখালো অভিজ্ঞ ম্যানেজার ভ্যান গলের শিষ্যরা।

‘সূর্যোদয়ে নাকি দিনের পূর্বাভাস পাওয়া যায়’- বহু প্রচলিত এই মিথটা ভেঙে দিল ডাচরা। কারণ, ৫-১ গোলের বিজয়-বেশের দিনে প্রথমে গোল হজমকারী দলের নাম কিন্তু নেদারল্যান্ডসই। খেলার ২৭ মিনিটে ডাচরা নিজেদের বক্সে ডিয়াগো কস্তাকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় স্পেন। তখন মনে হচ্ছিলো এ যেন সকার সিটির অ্যাকশন রিপ্লে। কিন্তু কে জানত- এমন একটা রূপকথা জন্ম নেবে সালভাদর অ্যারেনায়। যখন বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা পরের আসরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হবে। অতি ফ্যান্টাসিপ্রিয় লেখকও মনে হয় এমন টুইস্ট কল্পনা করতে পারেননি। অথচ মাঠের লড়াইয়ে তাই হলো।

আসলে এদিন অহম কিংবা জাত্যাভিমানের কারণে জিতেছে নেদারল্যান্ডস। গোল খাওয়ার পর ভেড়ে পড়েনি কমলা শিবির। বরং প্রতিশোধের মন্ত্রে আরো বেশি শানিত হয়েছে। সেজন্য বিরতির আগেই স্কোরলাইনটাকে ১-১ করে দেন রবিন ভন পার্সি। দুরন্ত হেডে গোল তুলে নেন ম্যানইউ ফরোয়ার্ড। এরপর ১-১ বিরতি নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ফিরে আরো ক্ষ্যাপা রুদ খুলিত ও রুড ফন নিলস্টরয়েল অনুজরা। তাই ৫৩ থেকে ৮০ মিনিটের ব্যবধানে স্পেনের জালে জমা হয় আরো চারটি গোল। তাও ইকার ক্যাসিয়াসের মতো বিশ্বসেরা গোলকিপারকে দর্শক বানিয়ে। ডাচদের শেষ চারটি গোল করেন আরিয়েন রোবেন, ভন পার্সি ও ডি ভিজ। এর মধ্যে আবার দুটি করে গোল করেছেন পার্সি ও রোবেন। খেলার ৫৩, ৬৪, ৭২ ও ৮০ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেন তারা।