ফখরুলসহ ৪৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চার্জ শুনানি

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফখরুলসহ ৪৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চার্জ শুনানি ফখরুলসহ ৪৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চার্জ শুনানি সরৎুধ ভধশযৎঁষ ব১৪০৮৩৫০৮৮০৬৮৮
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৪৬ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল হকের আদালতে এই চার্জ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ প্রায় সব আসামিই চার্জ শুনানিতে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
এ মামলায় চার্জ শুনানি ও সকল আসামিদের উপস্থিতির বিষয়টি বাংলামেইলকে নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লা মিয়া ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন মেসবাহ।
গত ২০১২ সালের ১০ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি ইন্সপেক্টর নুরুল আমিন এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। দ্রুত বিচার আইনের ৪ ও ৫ ধারায় চার্জশিট দেয়া হয়েছে। এ মামলায় ১৮ জনকে সাক্ষি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৯ এপ্রিল হরতাল চলাকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, ব্রিগেডিয়ার(অব.) হান্নান শাহ, সাদেক হোসেন খোকা, ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী, যুগ্মমহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর্জা আব্বাস, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর হক মিলন , আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন, এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল অলি আহম্মেদ, জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত নায়েবে আমীর মকবুল হোসেন, সোহেল মিয়া, মো. জসীম, মো. মানিক রতন, সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান রতন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিবুন নবী খান সোহেল , স্বোচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমীরুল ইসলাম খান আলীম, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান খোকন, ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর,ঢাকা মহানগন যুবদলের সেক্রেটারী মজনু, বিজেপি’র চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, ঢাকা মহানগর উত্তর’র স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারন সম্পাদক ইয়াছিন আলী, যুবদলের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নীরব , জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, প্রগতিশীল গনতান্ত্রিক শক্তি’র চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আঃ মতিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক-১ ওবায়দুল হক নাছির, ঢাকা মহানগর দক্ষিন ছাত্রদল সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল সাধারন সম্পাদক কামাল আনোয়ার, বিএনপি নেতা ও সাবেক কমিশনার আবুল বাসার, বিএনপি নেতা ও ৪০ নং ওয়ার্ড কমিশনার আনোয়ার হোসেন, বিএনপি’র ওয়ার্ড সভাপতি এল রহমান, বিএনপি’র সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নবী সোলায়মান, খিলগাঁও থানা বিএনপি’র সভাপতি ইউনুছ মৃধা, ঢাকা মহানগর জামাত নেতা বুলবুল, ছাত্রশিবির প্রেসিডেন্ট দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ইসমাইল খান শাহীন ও মোহাম্মদপুর স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি মান্নান হোসেন শাহীন।
এ মামলায় এজাহারভূক্ত আসামিদের মধ্যে কেবল আব্দুল জব্বার ছাড়া অন্য সবাইকেই চার্জশিটে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া চার্জশিটে নতুন অন্তর্ভূক্ত আসামিরা হলেন তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ইসমাইল খান শাহীন ও মোহাম্মদপুর স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি মান্নান হোসেন শাহীন। এজাহারে এই ২ জনের নাম ছিল না।
চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, বিএনপি ও সমমনা দলের ডাকা হরতাল সফল করার জন্য আসামি মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এমকে আনোয়ার, ব্রিগেডিয়ার (অব.) হান্নান শাহ, সাদেক হোসেন খোকা, রুহুল কবির রিজভী, কর্ণেল (অব.) অলি আহম্মেদ, ডা. খন্দকার মোশারফ হোসেন ও মকবুল হোসেনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় অপর আসামিরা ৭/৮টি মাইক্রোবাসে এসে গত ২৯ এপ্রিল এয়ারপোর্ট রোডস্থ ফ্যালকন টাওয়ারের সামনে রাত ৯টা ৫ ঘটিকার সময় ঢাকা-মেট্টো- জ-২১০৯ বাস ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এছাড়াও আজ(বৃহস্পতিবার) রমনা থানার ৪২(১২)১২ ও ১(১২)১২ নং মামলায় মির্জা ফখরুলসহ অন্যান্য নেতাদের হাজিরা ও জামিন বর্ধিতকরণের জন্য দিন ধার্য আছে। অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন মেসবাহ জানান, এদিন তাদের হাজিরা দাখিলের পাশাপাশি জামিনের মেয়াদ বর্ধিতকরণের জন্যও দুই মামলায় দুটি পৃথক আবেদন দাখিল করা হবে। এই মামলা দুটির জামিন বর্ধিতকরণের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগমের আদালতে।