সোমবার , ১৩ই মে, ২০২৪ , ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ , ৪ঠা জিলকদ, ১৪৪৫

হোম > অর্থ-বাণিজ্য > বাতিল হচ্ছে ডিএসই’র পুরনো সূচক

বাতিল হচ্ছে ডিএসই’র পুরনো সূচক

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবশেষে আগামী ২৮শে জুলাই বাতিল হতে যাচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পুরনো সূচক। গত ২৮শে জানুয়ারি ডিএসইতে নতুন সূচক অর্থাৎ ব্রড ইনডেক্স এবং ডিএস-৩০ ইনডেক্স চালু হওয়ার পর পুরনো সূচকটি ৩ মাসের মধ্যে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে নতুন এবং পুরনো সূচকের ওঠানামায় সামঞ্জস্যহীনতা থাকায় বিষয়টি পর্যবেণের স্বার্থে পুরনো সূচক আরও কিছুদিন রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর পুরনো সূচকটি বাতিলের আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পরামর্শ চাইলে ডিএসইকে ঐচ্ছিকভাবে পুরনো সূচক আরও কিছুদিন রাখার সুযোগ দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেেিত ডিএসই আগামী ২৮শে জুলাই পর্যন্ত নতুন সূচক চালু রাখবে বলে জানা গেছে। ডিএসই’র আগের সূচকটি ভুলে ভরা হওয়ায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে নতুন সূচক চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পাশাপাশি আগের সাধারণ সূচকটিও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পরবর্তী তিন মাস চালু রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গত ২৮শে জানুয়ারি নতুন সূচক চালুর সময় ডিএসই’র তৎকালীন সভাপতি রকিবুর রহমান সাংবাদিকদের বিষয়টি অবহিত করেন। সে হিসেবে ভুলে ভরা আগের সূচকটি ২৮শে এপ্রিল ডিএসই’র ওয়েবসাইট থেকে তুলে দেয়ার কথা। কারণ আগের ভুলে ভরা সূচকটি এখনও বহাল থাকায় বিনিয়োগকারী ও বাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। কারণ, অনেক সময় নতুন-পুরনো সূচকের ওঠানামায় ব্যাপক পার্থক্য ল্য করা যায়। গত ২৮শে জানুয়ারি নতুন এবং পুরনো সূচকের পার্থক্য ছিল মাত্র ১০ পয়েন্ট। অথচ মাঝেমধ্যে নতুন এবং পুরনো সূচকের পার্থক্য ৭০-৮০ পয়েন্ট পর্যন্ত হতে দেখা যায়। তখন বিনিয়োগকারীরা বিভ্রান্তিতে পড়েন। যে কারণে চূড়ান্তভাবে পুরনো সূচকটি তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ডিসেম্বরে লেনদেনযোগ্য শেয়ারের (ফ্রি ফোট) ভিত্তিতে সূচক গণনার সিদ্ধান্ত নেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তারই আলোকে ২৮শে জানুয়ারি থেকে নতুন সূচক চালু করা হয়। এদিকে নতুন ও পুরনো সূচকে বড় ধরনের পার্থক্য হওয়ার কারণ সম্পর্কে ডিএসই’র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, সব কোম্পানির হিসাব ডিজিইএন সূচকে গণনা হয় আর ডিএসইএক্স সূচকে ১৯৯টি কোম্পানির হিসাব গণনা করা হয়। এ েেত্র কয়েকটি শর্ত পূরণ করে আসতে হয় ডিএসইএক্স সূচকে। আর নতুন কোম্পানিগুলো লেনদেনের প্রথম দিন থেকে ডিজিইএন সূচকে যোগ হয় আর লেনদেনের ৩ মাস পর শর্ত পূরণ করতে পারলে ডিএসইএক্স সূচকে যোগ হয়। যার কারণে সূচকে পার্থক্য হওয়াটা স্বাভাবিক বলেই জানায় ডিএসই কর্তৃপ। কারণ, নতুন কোম্পানিগুলো লেনদেনে এসে ডিজিইএন সূচকে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারলেও ডিএসইএক্স সূচকে গণনা না হওয়ায় তার কোন প্রভাব পড়ে না ডিএসইএক্স সূচকে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে ডিজিইএন ও ডিএসইএক্স উভয় সূচকে কোম্পানির সংখ্যা সমান নয়। এ ছাড়া সূচক নিয়ে কোন ধরনের কারসাজি করার সুযোগ নেই। সূচক নির্ণয় একটি জটিল পদ্ধতি, যা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বোধগম্য নয় বলে তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।