রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ , ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ , ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > ভোটারতালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু জুনে

ভোটারতালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু জুনে

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ আগামী জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ২০১৪-২০১৫ সালের জন্য ভোটারতালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এবার ২০ লাখ ভোটার নতুন করে তালিকাভুক্ত হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

কমিশন সূত্র জানায়, তিন ধাপে ডিসেম্বরের মধ্যেই এ ভোটার হালনাগাদের কাজ শেষ করা হবে। বর্ষার কারণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথমধাপে উপকূল ও হাওর এলাকা, দ্বিতীয় ধাপে মফস্বল শহর এলাকা এবং শেষ ধাপে সিটি করপোরেশন এলাকায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে।

জানা যায়, ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারিতে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ এবং তার বেশি তাদের ভোটারতালিকা ভুক্ত করা হবে। অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি স্থানান্তর, বাদপড়া, সংশোধন ও মৃতদের বাদ দিয়ে এ হালনাগাদ করা হবে। এছাড়া তালিকায় স্থান পাবেন না মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিতরা।

ইসি সূত্র জানায়, এ বছরের শুরুতে ভোটারতালিকা হালনাগাদ করার আইনি বিধান থাকলেও উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে যথাসময়ে ভোটারতালিকা হালনাগাদ করেতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সচিবালয়ের সচিব সিরাজুল ইসলাম জানান, ‘আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে জুনের শুরুতে হালনাগাদের কাজ শুরু করার। আমাদের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটা প্রস্তাব কমিশনে দেয়া হবে। পরে কমিশন বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত নেবেন কবে থেকে ভোটার হালনাগাদের কাজ শুরু করবেন।

তিনি জানান, তিন দফায় হালনাগাদের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ বাংলামেইলকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পক্ষ থেকে কমিশনে এখনো কোনো প্রস্তাব দেয়া হয়নি। প্রস্তাব এলে কমিশন বৈঠক শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কবে থেকে ভোটারতালিকা হালনাগাদ শুরু হবে।’

জানা যায়, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ জেলা-উপজেলা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও এলাকাভিত্তিক ভোটারতালিকা হালনাগাদ করবেন। এ ক্ষেত্রে ভোটারদের তথ্যসংগ্রহ, ছবিতোলা ও আঙ্গুলের ছাপ নেয়াসহ যাচাই-বাছাইয়ের সময় নির্ধারণ করে দেবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

বছরব্যাপী ভোটারতালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির সুযোগ থাকলেও উপজেলা নির্বাচনের কারণে এতদিন তা স্থগিত ছিল। নির্বাচনী বিধান অনুসারে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কোনো ব্যক্তি নতুন ভোটার বা স্থানান্তর হতে পারেন না।

ইসি সূত্র জানায়, সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালে গাজীপুরের শ্রীপুরে পাইলট প্রকল্প দিয়ে ছবিসহ ভোটারতালিকা কার্যক্রম শুরু হয়। সে সময় মোট ৮ কোটি ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৬৯৮ জনের ছবিসহ ভোটারতালিকা প্রস্তুত করে নির্বাচন কমিশন।

এ কারণে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করতে ২ বছর বেশি সময় লাগে ইসির। পরে ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের পর ২০০৯-২০১০ সালে ভোটারতালিকা হালনাগাদ করা হয়। সে সময় মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়ায় ৮ কোটি ৫৭ লাখ ৭৪৭।

বিভিন্ন সময় স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কারণে পরের দুই বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। তবে দশম সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে (২০১১-২০১৩) ভোটারতালিকা হালনাগাদের কাজ শেষ করে নির্বাচন কমিশন। চার ধাপে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শেষ হয়। এতে প্রায় ৭০ লাখ ১৭ হাজার ৫২১ জন নতুন ভোটার তালিকাভুক্ত হন। মৃত্যুর কারণে বাদ পড়েন ৭ লাখ ৪১ হাজার ৬৯ জন ভোটার।

বর্তমানে ভোটার তালিকায় ৯ কোটি ১৯ লাখের বেশি ভোটার অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। এবারও ২০ লাখের বেশি ভোটার নতুন করে তালিকাভুক্ত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা । বাংলামেইল২৪ডটকম