রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ , ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ , ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫

হোম > জাতীয় > মাংস আমদানি বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

মাংস আমদানি বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

মাংস আমদানি বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।

বুধবার সচিবালয়ে ‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ-২০১৮’ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।

এর আগে আপনি বলেছিলেন ভারত থেকে মাংস আমদানির প্রয়োজন নেই। কিন্তু ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী কম দামে মাংস আমদানি হচ্ছে- এ বিষয়ে জানতে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনিও মাংস না আনার পক্ষে। সরকারিভাবে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, আমরা মাংস আমদানি করব না। আমাদের ৭৯ লাখ টন মাংস প্রয়োজন কিন্তু আমাদের অলরেডি ৭১ লাখ টন উৎপাদন হয়েছে। মাংস আনলে আমার খামারিরা মারা পড়বে। এই শিল্পটা ধ্বংস হয়ে যাবে।’

‘মাংস আমদানির বিষয়টি আমরা জানি না। এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

আমদানি নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশে মাংস আমদানিতে বাধা নেই। আমদানি হচ্ছেও, সেটা বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবেন কিনা- এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু আমরা (মাংস আমদানি) চাচ্ছি না এবং এতে (মাংস আমদানিতে) যদি আইনে বাধা না থাকে, তবে সেটা প্রতিরোধ করতে হবে, আইন পরিবর্তন করতে হবে। সুযোগ থাকলে সেই সুযোগ রোধ করার ব্যবস্থা নিতে হবে।’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব মাকসুদুল হাষান খান বলেন, ‘আমদানি নীতির বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমাদের মতামত চেয়েছে, আমরা বলেছি, মাংস আমদানি করার দরকার নেই।’

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ‘বেশি দামে মাংস খাচ্ছি এটা বড় বিষয় নয়। এটা আমাদের সামাজিক দায়িত্ব। এখন সাড়ে ৫ লাখ লোক গবাদিপশু পালন করছে। এই বাজারটা নষ্ট করে ফেললে আমাদের সমাজটা কোন অবস্থায় পড়বে, এটা একটা চিন্তা।’

উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে মাংসের দাম কমানোর বিষয়ে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে জানিয়ে নারায়ণ চন্দ্র বলেন, ‘আমরা সচেতন আছি জনগণ যাতে স্বল্প ও ন্যায্যমূল্যে মাংস খেতে পারে এবং খামারিরা টিকে থাকতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্রাহমা জাতের গরু আমাদের দেশে আনা হয়েছে, আমাদের দেশে বাচ্চা হয়ে ২ বছরে ৮০০ কেজিতে পৌঁছেছে। এই জাতের গরুতে এক টন (এক হাজার কেজি) পর্যন্ত মাংস হয়। মাংসের চাহিদা পূরণের জন্য অধিক ওজনের গরুগুলোর দিকে নজর দিচ্ছি।’

চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে মাংসের দাম বেড়েছে বলে মাংস ব্যবসায়ীরা দাবি করে আসছেন। এ বিষয়ে কোনো সক্রিয় উদ্যোগ বিবেচনায় আছে কি না- জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘এটা শুধু এককভাবে আমাদের মন্ত্রণালয়ের উপর নির্ভর করবে না। এরসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জড়িত। এই ভিত্তিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে আমরা পদক্ষেপ নেব।’

ভ্যাটেরিনারি হাসপাতালে মানুষ গবাদিপশুর চিকিৎসা সঠিকভাবে পায় না বলে অভিযোগ রয়েছে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মকর্তারা সেবামুখী। কিন্তু লোকবল সংকট রয়েছে, আমাদের জনবল বাড়ানো দরকার।’