মোঃ রবিন মিয়া
সোনারগাঁ প্রতিনিধি:
নারায়নগঞ্জ: শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই এবার, মেঘনা উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সবগুলো নদ-নদীর পানি কমে গিয়ে সেগুলো শাখা-প্রশাখায় ভাগ হয়ে এখন শীর্ণকায় রূপ নিয়েছে। আকস্মিক পানি শূন্যতায় প্রাণচাঞ্চল্যে ভরা নৌকার ঘাটগুলোর অস্তিত্ব এখন বিপন্ন। ইতোমধ্যে অনেক নৌঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। পানির অভাবে সেগুলোরও এখন বেহাল দশা। চ্যানেলের অভাবে নৌযান চলাচল নাই বললেই চলে। বর্তমানে নৌ চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে। অপর দিকে ছোট ছোট নদীগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় ওইসব নদীতে ইতোপূর্বে স্থাপিত সেচ যন্ত্রগুলো এখন পানি সংকটের মুখে পড়েছে। ফলে এবছর আসন্ন ইরি- বোরো মৌসুমে প্রাকৃতিক উৎসনির্ভর খাল-বিল, নদী থেকে সেচ দিয়ে ইরি- বোরো চাষ মারাত্মকভাবে বিঘিœত হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা নদীর শাখা প্রশাখার অব্যাহত পানি হ্রাসের ফলে নদীগুলো নিজেদের অস্তিত্ব হারাতে বসেছে।
মেঘনা নদীর পানি এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে এবং আষাড়ি চর ও মিধাকান্দী এলাকাসহ বিশাল বিশাল চর জেগে উঠেছে এখন এই নদীর বুকে।
সোনারগাঁ উপজেলার পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষ নদীতে নাব্যতা থাকার সময় স্বাভাবিকভাবে নৌকায় চলাচল করতো। এখন নদী বুকে জেগে ওঠা বিস্তীর্ণ চর এবং শাখা নদী গুলো শীর্ণকায় রূপ নিয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে নদীগুলো আরও ভরাট হয়ে যাবে এবং নাব্যতা সংকটের সৃষ্টি হবে। সেজন্য অবিলম্বে নৌ চ্যানেলগুলো ড্রেজিং না করলে এ উপজেলার চরাঞ্চলের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে সোনারগাঁ উপজেলার ভূমি সহকারী কমিশনার মো: ইব্রাহিম বলেন, সারাদেশের ন্যায় নদীগুলো ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা ফিরিয়ে আনার সরকারের একটি মহাপরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।